এই সময়
"হুমায়ূন আহমেদ স্যার চলে যাওয়ার পর বইয়ের পাতায় বন্ধী হয়ে আছে উনার অনন্য সৃষ্টি মিসির আলী এবং হিমু। হিমু এখন আর রাত-বিরাতে রাস্তায় হাঁটে না। নীল জোছনা দেখতে হিমু এখন আর বনে যায় না। কিন্তু হিমু থেমে থাকবে এটা কখনোই হতে পারে না। হিমু থেমে থাকবার নয়।
হিমু খালি পায়ে হাঁটবে রাস্তায়-রাস্তায়। যেখানে সেখানে মানুষের মধ্যে তৈরী করবে বিভ্রম। ভরকে দেবে মানুষকে। আমার মাঝে-মাঝে মনে হয় প্রত্যেকের মধ্যেই একজন হিমু বাস করে। আমি আমার হিমুকে বইয়ে থেমে থাকতে দেব না।
হিমু আবার হাঁটবে রাস্তায় খালি পায়ে। নীল জোছনার রাতে সে শালবনে ঢুকে পড়বে। মাঝে-মাঝে অসময়ে রুপাকে টেলিফোন করবে । আপনাদের হিমুর মত করে লেখার ক্ষমতা আমার নেই। কারণ হিমু লেখার ক্ষমতা শুধু মাত্র একজনকেই দেয়া হয়েছিলো।
"
গত কয়েকদিন ধরে রাস্তায়-রাস্তায় ভালোই হাঁটাহাঁটি হয়েছে। শরীরের জন্য একটু আরাম দরকার। ঘুম হল শরীরের একমাত্র আরাম। আজকে সারাদিন ঘুমাবো বলে ঠিক করলাম। তবে আরামে ঘুমাতে পারবো বলে মনে হয় না।
আজকে ছুটির দিন। তাই মেসে তাস খেলা হচ্ছে। প্রত্যেক ছুটির দিনেই মেসে তাস খেলা হয়। খেলা শেষে ভালো খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও থাকে। পাশের ঘর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ আসছে।
চিৎকার চেঁচামেচিতে আমার কখনো কোন সমস্যা হয় না। বরং চিৎকার চেঁচামেচি না হলে আমার কেমন জানি সমস্যা-সমস্যা মনে হয়। মনে হয় দম বন্ধ হয়ে আসছে। তবে আজকের হৈ চৈ এ একটু সমস্যা হচ্ছে। মাথায় যন্ত্রনা শুরু হয়ে গেছে।
আমি ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। ঘুম আসবে বলে মনে হয় না। ঘুমানোর চেষ্টা করাই বৃথা। তারচেয়ে বরং রুপার চিঠি পড়া যেতে পারে। মাস খানেক আগে রুপা আমাকে এই চিঠি দুটি পাঠিয়েছে।
এখনো পড়া হয়নি। পড়লেইত শেষ হয়ে যাবে। আমি আমার বালিশের নিচ থেকে চিঠি বের করলাম পড়ার জন্য। চিঠিও যে পড়তে পারবো তাও মনে হচ্ছে না। অনেকক্ষণ ধরেই লক্ষ্য করলাম আমার ঘরের এক পা ভাঙ্গা নড়বড়ে চেয়ারটিতে একজন কিম্ভূত-কিমাকার লোক বসে আছে।
দেখে মনে হচ্ছে কোন সার্কাস পার্টি থেকে এসেছে। রঙ মেখে সঙ সেঁজে আছে। লম্বা দাঁড়ি। ভ্রুঁ মোটা-মোটা। চোখে কাজল।
গায়ে সোনালী রঙ্গের চিকচিকে ড্রেস। গা থেকে আবার আতর টাইপ গন্ধ আসছে। ঘরম্বয় সে গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। লোকটি দৈত্যাকার। এখনো চেয়ার ভেঙ্গে পড়ছে না কেন সেটাই বুঝতে পারছি না।
লোকটি কোন এক ফাঁকে ঘরে ঢুকে পড়েছে। আমার ঘরের দরজা-জানালা সব সময় খোলাই থাকে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই ঘরে ঢুকে যেতে পারে। যাই হোক লোকটি কোন কথা বলছে না। আমারও কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।
আমি ঠিক করলাম আমি লোকটিকে পাত্তা দেব না। তাহলে সে বিরক্ত হয়ে এক সময় চলে যাবে। আমি রুপার চিঠি খুললাম। চিঠি খুলে পড়তে লাগলাম।
হিমু
আশা করি অনেক ভালো আছ।
আমি জানি তুমি যেখানেই থাকবে অবশ্যই ভালো থাকবে। তোমার হাঁটাহাটি কেমন চলছে? নিশ্চয়ই অনেক ভালো। মাঝে-মাঝে আমারও ইচ্ছে করে তোমার মত রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না। কারণ হিমুরা সব পারে কিন্তু রুপারা সব পারে না।
আচ্ছা তুমি কি কোন এক নীল জোছনা রাতে আমাকে নিয়ে একটু হাঁটবে? আমার জিবনে একটাই চাওয়া কোন এক নীল জোছনা রাতে আমি তোমার পাশে একটু হাঁটবো। আমার জিবনে তেমন কোন চাওয়া নেই। আচ্ছা আমার এই চাওয়াটা কি অনেক বড় কিছু। তোমার অনুমান শক্তিতো অনেক ভালো। তুমি বলতো আমার এই ইচ্ছাটা কি কোনদিন পূরণ হবে? আমার মনে হয় হবে না।
তবুও কেন জানি আমি ঐ জোছনা রাতটার অপেক্ষায় থাকি। হিমু আমি তোমার সাথে প্রায় সময়ই রাগ করি। যখন রাগ করি তখন ঠিক করি আমি আর তোমাকে কোনদিন চিঠি লিখবো না। কিন্তু পারি না। কোন এক সময় রাগ পড়ে যায়।
কেন জানি তোমার সাথে রাগ করে থাকতে পারিনা। আচ্ছা আর লিখতে পারছি না। আমার প্রচন্ড জ্বর। পারলে আমাকে...... না থাক। তোমাকে বলে লাভ নেই তুমি কখনোই আমাকে দেখতে আসবে না।
অনেক ভালো থাক। আর হাঁটাহাঁটি চালিয়ে যাও।
রুপা
আমি বুঝতে পারছি না রুপাকে দেখতে যাব কিনা। কোন অসুস্থ প্রিয় মানুষের মুখ দেখতে নেই। মায়া পড়ে যাবে।
বাবা তার মহাপুরুষ গ্রন্থে এ নিয়ে উপদেশ বাণী রেখে গেছেন।
"হিমু কখনো কোন অসুস্থ প্রিয় মানুষের মুখ দেখতে যাবি না। তাতে মায়া পড়ে যাবে। তুই নিজের অজান্তেই মায়া জালে পড়ে যাবি। মায়া এমন একটা জিনিস,যেটাকে তুই চাইলেই এড়িয়ে যেতে পারবি না।
তাই এই জিনিস থেকে দূরে থাকবি। তবে সুস্থ হলে প্রিয় মানুষের মুখ দেখা যেতে পারে। "
তাছাড়া এখন গিয়ে কোন লাভও হবে না। চিঠিটা প্রায় মাস খানেক আগের। রুপা মনে হয় এতোদিনে সুস্থ হয়ে গেছে।
আমার হাতে আরেকটি চিঠি রয়েছে। দ্বিতীয় চিঠিটা পড়বো কিনা বুঝতে পারছি না। কিম্ভূত-কিমাকার লোকটা এখনো বসে আছে ভাঙ্গা চেয়ারটায়। আমার দিকে বিরস মুখে তাকিয়ে আছে। চোখের পলক পর্যন্ত পড়ছে না।
আচ্ছা আমি কি আসলে স্বপ্নের মধ্যে আছি? কিন্তু স্বপ্ন বলেতো মনে হচ্ছে না। আমি আমার দরজার পাশে প্রতিদিন আসা কাকটাকে দেখতে পাচ্ছি। কাকটা আমার জন্য দিয়ে যাওয়া বদি মিয়ার চা খুব আরাম করে খাচ্ছে। সে প্রতিদিন এই সময়ে এসে আরাম করে চা খায়। সবচেয়ে বড় কথা হল আমি সবকিছুই স্পষ্ট দেখতে এবং শুনতে পাচ্ছি।
স্বপ্নে এতো স্পষ্ট দেখতে বা শুনতে পাওয়া যায় না। তবে এমন বাস্তবধর্মী স্বপ্ন আমি এর আগেও অনেক বার দেখেছি। লোকটা এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভালো যন্ত্রনা হলোতো। লোকটা আসলে কি চায়? চোর নাতো আবার? মেসের ম্যানেজার সাহেব আমাকে কয়েকদিন আগে সাবধান করে গেলেন।
প্রতিদিন নাকি চোর আসে। লোকটা যদি চোর হয় তাহলে সে ভুল জায়গায় এসে পড়েছে। আমার ঘরে নেয়ার মত কিছুই নেই। আমার এখন লোকটাকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে -ভাই আপনি কি চোর? যদি আপনি চোর হন আপনার যা নেয়ার আপনি নিয়ে চলে যেতে পারেন।
অবশ্যই এখানে নেয়ার মতো আপনার জন্য কিছুই রাখতে পারিনি।
সে কারণে আমি লজ্জিত বোধ করছি। আপনি অযথা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন। লোকটার জন্য এখন আমার সামান্য মায়াও হচ্ছে। অযথা এখানে বসে আছে। অন্য জায়গায় গেলে উনার বেশী পোষাত।
তবে মনের কথাগুলো মনেই থেকে গেল। আর বলা হলো না। সামাজিকতা বলতেওত একটা কথা আছে। সব কথা মুখ ফোঁটে বলা যায় না। বলতে পারলে আরাম পেতাম।
আসলে আমরা সামাজিকতা রক্ষা করে চলেছি জন্ম থেকেই। মুখে এক আর অন্তরে এক। আজ আর ঘুমাতে পারবো না মনে হচ্ছে। আমি বাহিরে তাকালাম। বাহিরে ঝলমলে রোদ খেলা করছে।
শরৎ-এর আকাশ। তাই আকাশ গাঢ় নীল হয়ে আছে। কোথাও কোথাও সাদা মেঘ দেখা যাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে কাশফুল ফোঁটে আছে। চমৎকার একটা দিন।
এই দিনে ঘরে পড়ে পড়ে ঘুমানোর কোন মানেই হয় না। বাহিরে বেরিয়ে পড়তে হবে। এই দিনে ঘরে বসে থাকতে নেই। এই লোকটাকে কি করা যায় বুঝতে পারছি না। যাই শেষ চিকিৎসা হিসেবে কল পাড় থেকে ঘুরে আসা যায়।
সেখানে গেলে এমনিতেই ঘন্টাখানেক লাগে। সেখানে একটাই মাত্র বাথরুম। বাথরুম কখনোই খালি থাকে না। ঘন্টাখানেকতো এমনিতেই লাগে। বাথরুম খালী পাওয়া মানে চাঁদের দেশে জায়গা পাওয়ার সমান।
কল পাড়ে কিছুক্ষণ সময় পাড় করে আসি। এই ফাঁকে যদি লোকটা চলে যায় তাহলেই বাঁচি। আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে ভদ্রতা সুলভ একটা হাসি দিলাম। লোকটা নির্বিকার ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি লোকটাকে আমার ঘরে রেখে কল পাড়ের দিকে চলে আসলাম।
এখানে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে হবে। আমার ভাগ্য নিতান্তই খারাপ হলো। আজকে বাথরুম একেবারেই খালি। আশে পাশেও কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এখানে অনেকক্ষণ কাটানোর পরিকল্পনা বেস্তে গেল।
অযথা এখানে ঘোরাঘুরি করার কোন মানেই হয় না। মেসের বিনয় বাবুকে আসতে দেখা যাচ্ছে। যাক সময় পার করার একজনকে পাওয়া গেল। বিনয় বাবু সবার সাথে গায়ে পড়ে কথা বলার জন্য উস্তাদ। আর কথা বলতে তিনি এক ধরনের আগ বাড়িয়েই থাকেন।
তবে আজকে আমাকে দেখে বিনয় বাবু কোন কথাই বলছে না। শুধু আমার দিকে তাকিয়ে কলপাড়ে বসলো। কি আর করা আমাকেই আজকে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে হবে। কি খবর বিনয় বাবু? শরীর ভালোতো?
এই আছি কোন রকম।
-পরিবারের সবাই ভালোতো?
-আছে আপনাদের দোয়া।
বুঝলেন হিমু সাহেব দিনকাল খুব খারাপ যাচ্ছে।
-কেন কি হয়েছে?
- না এমাসের বেতনটা পেতে অনেক দেরী হচ্ছে। এখনো বাড়ীতে টাকা পাঠাতে পারছি না। সেদিকে আপনার বৌদি তাড়াতাড়ি টাকা পাঠানোর জন্য চিঠি লিখে পাঠিয়েছে। হিমু সাহেব পরিবারের চিন্তা খুব খারাপ জিনিস।
আপনারতো কোন চিন্তা নাই। আপনি বেশ আছেন।
-আরে বিনয় বাবু টাকা পেয়ে যাবেন। চিন্তা করার কিছুই নাই।
-না তা পাব বুঝতে পারছি।
হিমু সাহেব আমার মেয়েটার জন্য একটু দোয়া করবেন। সামনে তার এইচ.এস.সি পরীক্ষা। আপনি সাধু-সন্ন্যাসী মানুষ। আপনার দোয়া কাজে লাগবে। একটু দোয়া করবেন।
আমার প্রতি দিনদিন মানুষের ভ্রান্ত ধারণা দেখে একদিকে খারাপ লাগছে আবার একদিকে ভালোই লাগছে। নিজেকে কেমন জানি ক্ষমতাবাণ-ক্ষমতাবাণ মানুষ মনে হচ্ছে। খারাপ লাগছে কারণ সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। তবে এতে চিন্তার কিছুই নাই। সাধারণ মানুষ জন্মছে ঠকবার জন্য আর প্রতারিত হবার জন্য।
- আচ্ছা বিনয় বাবু দোয়া করবো। আপনাদের তাস খেলা কেমন চলছে?
-আর বলবেন না হিমু সাহেব। গত কাল রাত থেকেই খেলা চলছে। খেলার শেষে ভালো খাবার-দাবারের আয়োজন করা আছে। আপনিতো আসবেন না।
আপনার খাবার আপনার রুমে পাঠিয়ে দেব।
-আচ্ছা পাঠিয়ে দিবেন।
আমি বিনয় বাবুর সাথে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় পার করে আবার আমার ঘরের দিকে রওনা হলাম। মনে মনে প্রার্থনা করলাম লোকটাকে গিয়ে যেন না দেখি। আমার কলপাড়ে সময় পার করা একেবারেই পন্ডশ্রম হলো।
লোকটা এখনো আমার ঘরেই বসে আছে। একটা বিষয় নিশ্চিত হয়া গেল লোকটা চোর না। চোর হলে অনেক আগেই ঢু-মারতো। আমি তাকে ঢু-মারার পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি। কাকটাকে এখনো দেখা যাচ্ছে।
কাকাটা চা শেষ করে এখনো কেন বসে আছে বুঝতে পারছি না। সম্ভবত আরেক কাপ চা খেতে চাচ্ছে। লজ্জায় বলতে পারছে না। অথবা বাহিরে গরম তাই এখানে আরাম করছে। থাকুক কাক কাকের মত।
আমি লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম-ভাই আপনি কে?লোকটা কোন কথা বলছে না। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম ভাই আপনি কে?( আগের চেয়ে একটু শব্দ করে)।
-আমি আলাদিনের চেরাগের দৈত্য।
লোকটার গলার আওয়ার যথেষ্ট ভারী।
- ত দৈত্য ভাই এখানে কি চান?
-আমি আপনার কাছে এসেছি।
-আমার কাছে কেন এসেছেন? আমিতো কোন চেরাগে ঘষা মারিনি। তাছাড়া আমার কাছে কোন চেরাগও নেই।
-সবাইকে কেন চেরাগ ঘষতে হবে? সাধু-সন্ন্যাসী মানুষের কাছে আমি এমনিতেই আসি।
-অ আচ্ছা ! (আমি ভেবে অবাক হলাম আলাদিনের চেরাগের দৈত্যও মানুষের মত ভুল করছে) দৈত্য ভাই আমি এখন বের হব। আপনি ইচ্ছে করলে এখানে থাকতে পারেন।
আমার খাটে ঘুমাতে পারেন। আবার ইচ্ছে করলে আমার খাটের নিচে একটা বিস্কিটের কৌটা আছে সেখান থেকে বিস্কিট খেতে পারেন। আমার একজন প্রিয় মানুষ এটা আমাকে কিনে দিয়েছে। আমার এখনো খাওয়া হয়নি।
-না আমি ঘুমাবো না।
টানা অনেক বছর ঘুমিয়েছি। আর আমার খাবারেরও প্রয়োজন হয় না। আমি এখন থেকে আপনার তিনটা ইচ্ছা পূরণ না হয়া পর্যন্ত আপনার সাথেই থাকবো।
-আপনি কি আসলেই আমার তিনটা ইচ্ছা পূরণ করবেন?
-অবশ্যই পূরণ করবো। আমার কাজইতো ইচ্ছা পূরণ করা।
- কি বলছেন দৈত্য ভাই? আমারতো ভাবতেই গায়ের লোম কাটা দিয়ে উঠছে। আমি এখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো?
- অবশ্যই। বলুন আপনার কি চাই?
-দৈত্য ভাই আপনার কি খুব তাড়া আছে?
-না আমার কোন তাড়া নেই।
-তাহলে ভেবে চিন্তেই ইচ্ছার কথাটা বলি? ফালতু ইচ্ছার কথা বলে অযথা একটা ইচ্ছা নষ্ট করতে চাচ্ছি না। বড়-সড় কিছু একটা চাইতে হবে।
-আপনি যখন ইচ্ছা তখনই চাইতে পারেন। কোন তাড়া নেই।
-ধন্যবাদ দৈত্য ভাই। আর আমি এখন বের হব। বাহিরে রোদে একটু হাঁটাহাটি করবো।
আপনি কি যাবেন আমার সাথে? বাহিরে কিন্তু অনেক রোদ। আপনার রোদে হেঁটে অভ্যাস আছেতো?
-আমার রোদ বৃষ্টি কোন সমস্যা না।
-তা ঠিক আপনিতো আর আমাদের মত চামড়ার মানুষনা। রোদ একটু লাগলো আর আপনার জন্ডিস হয়ে গেল। আবার বৃষ্টির ফোঁটা দুইটা গায়ে পড়লো আর অমনি ঠান্ডা লেগে গেল।
হাজার হোক আপনি চেরাগের সেই মহান দৈত্য।
ঘর থেকে বের হয়ার সময় হঠাৎ আমার প্রথম ইচ্ছাটার কথা মনে হয়ে গেল। তাছাড়া প্রথম ইচ্ছাটা কাজে লাগিয়ে দেখা যেতে পারে। আমি চেরাগের দৈত্য ভাইকে বললাম- আমি কি আমার প্রথম ইচ্ছাটা আপনার কাছে চাইতে পারি?
-অবশ্যই। বলুন আপনি কি চান?
চলবে .....................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।