Democracy is the government of the people, by the people and for the people-Abraham Lincoln
ল্যাপটপ কেনার সময় যে বিষয় গুলো লক্ষ রাখতে হবেঃ একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কেনার ইচ্ছে সবার ই থাকে। কিন্তু কিছু মৌলিক বিষয় খেয়াল না করায় আমরা প্রায় সময় আমাদের চাহিদা মাফিক কিনতে ব্যার্থ হই। কথা না বাডিয়ে দেখে নেই কোন কোন বিষয় গুলো মাথায় রাখা উচিৎ।
ল্যাপটপ ব্রান্ড: বাজার এর বিভিন্ন ব্রান্ড এর মধ্যে আমার পছন্দ যথাক্রমে অ্যাপল,সনি,এইচপি,তশিবা, ফুজিতসু,আসুস। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ডেল পছন্দ না করাই ভাল হবে।
ব্রান্ড পছন্দ অনেক টা নির্ভর করে বাজেটের উপর। আপনার যদি ১ লক্ষ বা তারও অধিক টাকা বাজেট থাকে তাহলে আপনি অ্যাপল,সনি বাছাই করতে পারেন। আর যদি বাজেট ৫০ হাজার+ হয় তবে এইচপি বাছাই করতে পারেন। এভাবে ক্রমান্বয়ে যেতে পারেন।
কনফিগারেশন:
Processor: মিনিমাম core i3,i5 core2duo( যারা ল্যাপটপ শুধুমাত্র গান শোনা, মুভি দেখা, অফিস কাজ করা, প্রেজেন্টেশান এর কাজ করতে চাও।
) তবে এ ক্ষেত্রে 3rd generation নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
Processor এর ধরনঃ বর্তমান এ দুই ধরন এর পাওয়া যায়। ইন্টেল ও এএমডি। এএমডি ইউরোপ মার্কেট দখল করলে ও এশিয়া মার্কেট এখনো ইন্টেল এর দখল এ।
এএমডি Processor গুলো ইন্টেল থেকে একটু বেশি গরম হয়ে থাকে বলে শোনা যায়। এএমডি ব্যবহারকারি রা এএমডি কে এগিয়ে রাখতে চায়, আর ইন্টেল ব্যবহারকারিরা ইন্টেল কে। বাস্তবতা হল বর্তমান প্রযুক্তি বিচার এ কোনটি কে ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। কিছু সুভিদা ইন্টেল থেকে পাওয়া যায় বলে অনেকে ইন্টেল কে সন্দেহাতীত ভাবে এগিয়ে রাখবে। আমি ও তাদের দল এ।
ল্যাপটপ এ 3rd generation বলতে কি বুঝায়ঃ ল্যাপটপ এ 3rd generation বলতে প্রসেসর এর 3rd generation কে বুঝায়। বর্তমান এ 2nd,3rd,4th generation এর প্রসেসর পাওয়া যায়। তবে 3rd generation প্রসেসর ই বেশি পাওয়া যায়। মূলত 2nd থেকে 3rd generation স্পীড একই সিরিজ এর প্রসেসর ভেদে এ ২০০-৬০০mhz পর্যন্ত বাডতে পারে। তবে যারা core2 কিনতে চাও তাদের জন্য 3rd generation না হলে ও চলবে।
2nd generation প্রসেসর গুলো sandy bridge technology তে আর 3rd generation গুলো Ivy bridge technology তে চলে। 3rd generation গুলো তে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় ফলে কম তাপ উৎপন্ন হয়। এভাবে 4th generation(Haswell technology) গুলো তে আরও কম বিদ্যুৎ খরচ ও তাপ উৎপন্ন হয়। গতি ও বেশি হয়।
কিভাবে বুজবো আমার Processor 2nd or 3rd generation এরঃ My computer এ ক্লিক করলে properties এ ক্লিক করলে Processor এর নাম্বার দেখা যাবে।
যদি নাম্বার 2 দিয়ে শুরু হয় তাহলে বুজতে হবে 2nd generation এর Example: Intel(R) core(TM)i5-2120m আর যদি 3 দিয়ে শুরু হয় তাহলে এটি 3rd generation এর। Example: Intel(R) core(TM)i5-3230m
Ram: corei3,i5 এর জন্য minimum 4gb আর corei2duo এর জন্য 2gb হলে ই চলবে। Ram DDR3(Double Data Rate) হতে হবে। অবশ্যই BUS speed এর বিষয় টা মাথায় রাখতে হবে। BUS speed 1800mhz হলে ভাল হয়।
অনেকে DDR3 নিয়ে খুশি হয়ে যায়। BUS speed এর কথা খেয়াল ই রাখে না। অথচ এর উপর ও কম্পিউটার এর স্পীড নির্ভর করে। অনেকে মনে করে 4GB RAM লাগিয়ে দিলাম আর কম্পিউটার পাঙ্খা হয়ে যাবে। বাস্তবে দেখা যায় BUS Speed কম হওয়ার জন্য 8GB DDR3 RAM ব্যবহার করে ও কাঙ্ক্ষিত স্পীড পায় না।
করে। so, সাধু সাবধান। কমপক্ষে 1200mhz BUS speed এর RAM নেওয়া উচিত (সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য)
graphics Card: অধিকাংশ ল্যাপটপ এ সাধারণত built in graphics card/integrated graphics card (intel hd 3000 or 4000)থাকে। তাই এটি পরিবর্তন এর সুযোগ নেই। তবে dedicated graphics card/external graphics ও পাওয়া যায়।
যারা গ্রাফিক্স এর কাজ করেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সে ক্ষেত্রে price একটু বেশি পড়বে।
Main board/Motherboard: এটি সাধারণত Laptop এর configuration অনুসারে balance করা থাকে। মাদার বোর্ড বলতে এর chipset কে বুঝানো হয়। এই chipset ই সাধারণত Processor, RAM, Hard disk ও অন্যান্য উপাদান গুলোর সমন্বয় করে থাকে।
তবে ডেক্সটপ কেনার সময় অবশ্যই Main board/Motherboard এর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।
Hard disk: সাধারণত বাজার এ দুই ধরনের Hard disk পাওয়া যায় 5200rpm ও 7200 rpm এর। ল্যাপটপ এর ভাল স্পীড এর জন্য 7200 rpm অপরিহার্য। তবে যারা normal কাজ এর জন্য ল্যাপটপ নিতে চাও তাদের 5200rpm হলে ও চলবে।
Display: সাধারণত ১৫" হলে ভাল হয় ।
তবে ১৪" হলে ও চলবে ।
ভাল স্পীড পেতে হলে কোন বিষয় গুলর প্রতি লক্ষ রাখতে হবেঃ অনেকের কাছে কম্পিউটার এর অন্য নাম স্পীড। মূলতঃ যে কম্পিউটার এর স্পীড নাই তাকে আমি কম্পিউটার ও বলি না। স্পীড নির্ভর করে RAM,Processor,chipset,hard disk এই ৪ টি বিষয় এর যথাযথ সমন্বয় এর উপর। তাই ল্যাপটপ/ডেক্সটপ কেনার সময় এই বিষয় গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।
এই বিষয় গুলোর প্রতি লক্ষ রেখে ল্যাপটপ কিনতে হবে সাথে পকেট এর balance এর প্রতি ও। যারা HP series নিতে চাও তাদের কে Hp probook suggest করবো। যা আমি নিজে ও ব্যবহার করি। বেশ ভাল performance পাচ্ছি।
শেষ কথাঃ সাধারণ কাজ এর জন্য dual core/core2 এর ল্যাপটপ নিলেই হয় যা ২৫০০০-৩০০০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়।
তাই ৫০ হাজার বা ১ লক্ষ টাকার কম্পিউটার এর জন্য আফসোস করা বোকামি ছাড়া আর কিছু ই নয়। কম্পিউটার থাকা না থাকার মধ্যে যতটুকু পার্থক্য, কম বা বেশি Configuration এর কম্পিউটার এর মধ্যে সে পার্থক্য নেই।
N:B: তথ্য প্রযুক্তির যুগ এ অন্যতম অসুভিদা হল নিবন্ধের সত্ত্ব না থাকা। আমরা বাংলাদেশিরা (সবার কথা বলছি না) নেট এ কিছু পছন্দ হলে কপি পেস্ট করে নিজের নাম এ চালিয়ে দিতে অভ্যস্ত যা অত্যন্ত দুঃখ জনক ও সেই সাথে উদ্বেগ এর ও কারন। যথাযথ তথ্য প্রযুক্তি আইন না থাকায় ও আইন কে বাক্তি স্বার্থে ব্যবহার করায় এই ধরনের সমস্যার উদ্ভব হয়েছে।
কথা গুলো বলছি এই জন্য যে, আমি কিছু দিন আগে দেখলাম বাংলাদেশের অন্যতম টেকনোলজি সাইট Techtunes এর এক জন Tuner লিখা অন্য জন কপি পেস্ট করে অন্য site এ দিয়ে দেয়। বার বার Request করার পর ও পোস্ট Remove না করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে পরে Tune করাই ই ছেডে দেয়। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। আমাদের সবার ই এই বাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সবার জন্য শুভ কামনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।