উপক্রমণিকাঃ সিরিজটাকে নিরীক্ষাধর্মী বলতে পারেন কিংবা কম শব্দের স্ট্যাটাস সংকলনও বলতে পারেন। বিচারের ভারটা নাহয় আপনার উপরেই রইলো।
১।
সকাল বেলার চেঁচামেচি, কলতলার ঝনঝন, ঠেলাঠেলির বাস, ঘামের গন্ধ, শার্টের হাতায় পানের রসের দাগ, চায়ের দোকানে এক পশলা রাজনীতির আলাপ আর রাতের বেলা মশারী টানানোর ঝগড়া- মধ্যবিত্তের জীবনটা বড় বেশি টানাপোড়েনে ভরা! মানিব্যাগের অল্প কটা নোট যখন প্রতিমূহুর্তে সাধ্যের সীমাবদ্ধতা জানান দিতে থাকে, তখন মুখের একটুখানি হাসিই অনেকটা সুখের যোগান দেয়। তাইতো ছোট মেয়েটার ক্যান্সারের চিকিত্সা না করে রহমান সাহেব পা বাড়ান বার্বি ডলের দোকানটার দিকে।
অসুস্থ বোনকে একা ফেলে রুনু তখন বাসস্ট্যান্ডে তপুর জন্য দাঁড়িয়ে। তপু আসে না, এরকম হাজার খানেক রুনুর জন্য আসতে তার বয়েই গেছে! একা বাড়িতে ঝুনু তখন ভয়ে কাঁদে, বড় বোনটাকে ডেকে ডেকে অস্থির। আরও একজন কাঁদে। সবার সামনে, বড় বেশি আকুল হয়ে।
২।
মধ্যবিত্তের স্বপ্নগুলো প্রায় সবসময়ই সরলপথে চলে। নিম্নবিত্তের স্বপ্নের সীমারেখাটা কিন্তু অনেকটা বেশি বিস্তৃত। সরকারী চাকুরে রহমান সাহেব যেখানে ছেলেটাকে প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি করার বেলায় হাজারবার ভাবেন, রহিম ব্যাপারি সেখানে ছেলেটাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য সর্বস্ব বিক্রি করতে হয়ত একটুও দ্বিধা করেন না। ছেলে আকাশপথে উড়াল দেয়, প্লেনের জানালার কাচটা কি ঝাপসা করে দেয় কৃষকের স্বপ্নটাকেও? দিন যায়, মাসের পর বছরটাও পেরুতে চায় আশার সীমানাটুকু। পোস্টঅফিসের দরজায় মা তখন একটুকরো খামের প্রত্যাশী।
পিয়ন আসে, চিঠি আর আসে না। ছেলে তখন ভাঙা শরীরে পাপের চিহ্ন বয়ে মৃত্যুর দিন গোনে। স্বপ্নটাও কি হারিয়ে যায় না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।