ভারতবর্ষ খণ্ড-বিখণ্ড হওয়ার বহুকাল আগে, লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় খুব সম্ভব বৃহত্তর খুলনার সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পাইকগাছা, আশাশুনি এমনকি গাবুরা-রামপাল এলাকাতে বেড়াতে এসেছিলেন, হয়তোবা দেখতে এসেছিলেন সুবিশাল সুন্দরবনের গভীরে বাঘ, হরিণ, বাঁদরেরা কীভাবে তাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিকে লালন-পালন করে। হয়তো কলকাতায় ফিরে যাওয়ার সময় দেবহাটার গণেশ সাহার দোকানে চা-বিস্কুট খেতে খেতে নিজের মনের অজান্তেই কখন যে ভুলক্রমে তিনি কথাটি বলেছিলেন। শ্রী চট্টোপাধ্যায়ের মনে না থাকলেও দেবহাটার গণেশ সাহার দোকানে যারা চা-পান, বিড়ি-সিগারেট খাচ্ছিলেন তারা কিন্তু কথাটি শুনেছিলেন এবং আরও দশজনকে জানিয়েছিলেন। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় নামের কলকাতার এক কুলীন ব্রাহ্মণ একটু আগে বলে গিয়েছেন, 'বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে'।
চা-প্রেমীরা আগেই জেনে নিয়েছিলেন আগন্তুকের নাম ও ঠিকানা।
হয়তো সম্ভ্রমেই জানতে চেয়েছিলেন, মহাশয়ের এ অঞ্চলে আগমনের হেতু কী? মহাশয় হয়তো বলেছিলেন, আপনাদের রামপালে একটি নয়নাভিরাম বিদ্যুৎকেন্দ্র নাকি তৈরি হবে, কোথায় হবে, কীভাবে হবে, কখন হবে, সাতক্ষীরায় হবে, নাকি বাগেরহাটে হবে, সেই জায়গা খুঁজতে খুঁজতে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের গোবিন্দদাশ, গাজী আজিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ওই সাতক্ষীরায় মুন্সীগঞ্জের মোস্তফা নুরুজ্জামানসহ ভুলক্রমে যখন সুন্দরবনের কলাগাছি ফরেস্ট অফিসের ঘাটে গিয়ে নৌকো ভেড়ালেন, তখন সন্ধ্যা গড়িয়েছে, তখন তিনি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'অাঁধারের রূপ' দেখার লোভ সংবরণ করতে না পেরেই, সেই ঘনকৃষ্ণ অন্ধকারে রাতযাপন করলেন, নৌকোয়, নদীর মাঝখানে। সফরসঙ্গীদের নিয়ে। নদীর মাঝখানে নৌকো রাখা সমীচীন নয় বলে জানালেন গোবিন্দ আর আজিজ। মোস্তফা জানালেন, নদীতে কুমির আছে, ডাঙায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সঞ্জীব বাবু একটু ভীতসন্ত্রস্ত কণ্ঠে জানতে চাইলেন, এখন তাহলে আমাদের করণীয় কী হবে? সফরসঙ্গীরা জানালেন, রাতটা কাটাতে হবে গাবুরা গ্রামে, শ্যামনগরে অথবা বুড়িগোয়ালিনি, নয়তো পদ্মপুকুর গ্রামে।
শ্রী চট্টোপাধ্যায় সফরসঙ্গীদের জানালেন, পত্রিকায় দেখতে পেলাম রয়েল বেঙ্গল টাইগার কিছু দিন আগে শ্যামনগরে মানুষ খেয়েছে, বুড়িগোয়ালিনীতে গরু, আর পদ্মপুকুর গ্রামের এক গৃহবধূ নদীতে স্নান শেষে যেই কি না পাড়ে উঠেছে, তিনি দেখতে পেলেন তার দিকেই এগিয়ে আসছে তোমাদের রয়েল বেঙ্গল। গৃহবধূ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভেবেছিল বাঁচতে পারবেন, কিন্তু নদীতে ছিল কুমির। সারা রাত আলোচনা শেষে ভোর বেলায় দেখলেন, তারা নদীর মাঝখানেই আছেন।
ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসে কলাগাছি ফরেস্ট অফিসের ঘাট গিয়ে কাঠের সাঁকো পাড়ি দিয়ে কিছু দূর যেতেই দেখলেন, বাঁদর তার বাচ্চাগুলোকে কোলে নিয়ে আদর করছে, কচ্ছপ রোদ পোহাচ্ছে, একপাল বাচ্চা নিয়ে। হরিণ তার ছোট দুটি শিশুকে নিয়ে কেওড়া পাতায় মনোযোগ দিয়েছে।
শুধু বাঘ দেখতে না পেয়ে, হয়তো শ্রী চট্টোপাধ্যায় তার সফরসঙ্গীদের অনুরোধ করেছিলেন, এখানে বাঘের দেখা পেলাম না, তখন বাগেরহাটে গেলে কেমন হয়? সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাব গৃহীত হলো। বাগেরহাটে পেঁৗছতেই শ্রী চট্টোপাধ্যায় সেই চায়ের দোকানে যা বলেছিলেন, এবারও মনের ভুলে বলে ফেললেন, দুটি কথা (১) বন্যেরা বনে সুন্দর মাতৃক্রোড়ে শিশু। (২) এখানকার রামপাল গ্রামে যাব। শ্রীরাম নিশ্চয়ই এই এলাকায় এসেছিলেন, তাই বোধকরি গ্রামটির নাম রাখা হয়েছে রামপাল, তবে তিনি রাতের অন্ধকারে এসে অনুভব করেছিলেন, রামপালে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজন। রামপাল গ্রামে ঢুকেই শ্রী চট্টোপাধ্যায় এবং তার সফরসঙ্গীরা দেখতে পেলেন একদল লোক মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন।
তাদের ভেতরে কেউ কেউ চোখ মুচছেন। আশপাশে চায়ের দোকান না থাকলেও আছে প্রাচীন আমলের বটপাকুড়। সেই বটপাকুড়ের ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি থাকলেও নেই তাদের কিচিরমিচির। মাঠের কাছাকাছি পেঁৗছতেই ছুটে এলেন গণেশ মণ্ডল আর সিরাজ প্রামাণিক। দুজনই বর্গাচাষি।
জানতে চাইলেন, আপনাদের আগমনের হেতু কি? গোবিন্দ আর নুরুজ্জামান উল্টো জানিয়েছিলেন আমরা তিনজনই সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের লোক। আর এই ভদ্রলোক কলকাতা থেকে সুন্দরবন দেখতে এসে শুনতে পেলেন, আপনাদের রামপাল গ্রামে নাকি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে। গণেশ মণ্ডল আর সিরাজ প্রমাণিক এবার দুজনই জোরেশোরে কেঁদে কেঁদে জানালেন, আমাদের বর্গাজমি বাপ-দাদার দুই/চার কাঠা বসতবাড়ি সবই নাকি বিদ্যুৎ কোম্পানি নিয়ে যাবে। তাহলে আমরা কি খেয়ে বাঁচব। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব।
আর ওই বিদ্যুৎ ফিদ্যুৎ আমাদের দরকারই নেই। নিজে বাঁচলে বাপ-দাদার নাম। গণেশ আরও জানালেন, আমাদের বাগেরহাটের রামপালের লোকজন সুন্দরবনের মধু, কাঠ, কেওড়া পাতা, নদীর মাছ, সামান্য লবণের চাষাবাদ এবং অন্যের জমিতে চাষবাস করে যা পাই, তাই দিয়ে ভগবানের দয়ায় দিনাতিপাত করি। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ এলেও কাজে লাগবে না বরং ওই সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, ঘুঘু কিছুই থাকবে না বলেই মনে হয়।
শ্রী চট্টোপাধ্যায় হয়তো কিছু বলতে চেয়েছিলেন, তার আগেই সিরাজ প্রামাণিক বললেন, এই তো কয়েক বছর আগে আমাদের গাবুরা ইউনিয়নে আইলা এসে সব কিছু শেষ করে দিল।
চারদিক থেকে শুনলাম আমাদের সাতক্ষীরার যেসব গ্রামগঞ্জ আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব গ্রামবাসীকে কারা নাকি হাতি-ঘোড়া দেবে, আমরা হাতি-ঘোড়া কেন, একজোড়া বলদও কেউ দিয়ে গেল না, পেলাম না। এমনকি ঘরের ছাপরা তোলার জন্য করগেটেড, ক্যানেসতারা একখানা টিন। তখনই আল্লাহর কাছে বলছিলাম, আইলায় যদি ভাসিয়ে নিত সপরিবারে বেঁচে যেতাম। তারপরও বেঁচে আছি। এবার হয়তো বাঁচতে কেউই পারবে না।
সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, বানর, সাপ, পাখি-পাখালি, ডাঙায় বাঘ হয়ে যদি মানুষ এসে মানুষ খায়, বাড়িঘর উচ্ছেদ করে, বর্গাজমি যদি হারিয়ে যায়, তাহলে আর বেঁচে থেকে লাভ কি। বরং নদীর কুমিরের পেটে যাওয়াই ভালো। এবার শ্রী চট্টোপাধ্যায়ের সফরকারীরা নিজেদের চোখ মুছতে মুছতে ফিরে এলেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে। সঞ্জীব বাবু কলকাতায় যাওয়ার আগে গোবিন্দ, আজিজ আর নুরুজ্জামানকে শেষবারে বলে গেলেন, এর আগে যা বলেছিলেন সে কথাটি, তবে একটু ঘুরিয়ে। বনের পশুরা আর বনে থাকবে না।
বনে থাকবে মানুষগুলো, তবে একটু তফাৎ আছে, বনের পশুদের আবাসস্থল যখন এই রামপাল অঞ্চলে গড়ে উঠবে, তারা হয়তো তখন বলবে, আজীবন অন্ধকারেই থেকে এলাম, অন্ধকারেই আমরা থাকতে চাই, আর যারা বনে গিয়ে থাকবেন তারা হয়তো তখন বলবে, আলো চাই, হে প্রভু আলো দাও। শ্রী চট্টোপাধ্যায় এবার কোথাও কোনো চা পানের দোকানে না বসে সেই যে কলকাতায় ফিরে গেলেন, দক্ষিণবঙ্গে আর এলেন না। তবে তার সেই কথাটি আকাশে-বাতাসে বইয়ের পাতায় যখন ছড়িয়ে পড়ল, সঞ্জীব বাবু হয়তো দুঃখ পেয়েছিলেন এই ভেবে, 'বন্যরা বনে সুন্দর' না বলে যদি বলতাম- 'শিশুর বাবারা বনে সুন্দর' বোধকরি ভালো হতো। ইতোমধ্যে ১৯৪৭ এসে পড়ায় পাকিস্তান নামক একটি অদ্ভুত, জগাখিচুড়ির দেশ বানিয়ে দিয়েছিলেন জওহরলাল, মাউন্ট ব্যাটেন এবং জিন্না ও করমচাঁদ গান্ধী। (পূর্ববাংলা) পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের দূরত্ব ১১০০-১২০০ মাইল, মাঝখানে ভারত।
পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে মাউন্ট ব্যাটেন সাহেবরা পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্বকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার অজুহাতে।
অথচ পশ্চিম পাকিস্তানের আচার-আচরণ, সংস্কৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হলেও দুই দেশকে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের দোহাই দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিরা শোষণ-শাসন চালিয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদাররা যে অপকর্ম করেছিল তারই সংক্ষিপ্ত একটি চিত্র তুলে ধরেছিলাম ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিবিসিখ্যাত, বিখ্যাত সাংবাদিক মার্ক টালিকে, দিনটি সম্ভবত ৯ জুলাই সোম অথবা মঙ্গলবার। সেদিন সন্ধ্যায় প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে পাবনা শহরের বাণী সিনেমা হলের সামনে একটি রিকশার হুডের নিচে দুই বিদেশিকে দেখে এগিয়ে গিয়ে জানিয়েছিলাম আমার পরিচয়- মার্ক টালি আমার দেওয়া সংবাদ পেঁৗছে দিয়েছিলেন লন্ডনে। এই সংবাদটি প্রচারিত হয়েছিল দুই দিন পরে বিবিসিতে।
তিনি বলে দিয়েছিলেন পাবনা শহরকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে হিন্দু মুসলমানদের হত্যার মাধ্যমে এক ত্রাসের রাজত্বের কথা। মার্ক টালি আরও জানিয়েছিলেন নাটোর, রাজশাহীতে পাকি আর্মির বর্বতার কথা। যে শিশুরা মাতৃক্রোড়ে এক দিন শিশু ছিলেন তারা এক দিন বড় হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গিয়ে নাম লেখালেন এবং কেউ কেউ যুক্ত হলেন ধর্মীয় মৌলবাদীদের দলে, যে পাক আর্মিরা কিছুই চিনত না, কিছুই জানত না এ দেশের আবহাওয়া, মানুষের চলাফেরা, বাড়িঘর তাদেরকে চিনিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই বাড়িটি হিন্দুর, এই বাড়িটি হলো মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের বাড়ি, মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ, হাবীবদের বাড়ি, ওরা দুই ভাই সাধুপাড়ার কোবাদ আলীর ছেলে। আলী মিষ্টির ব্যবসায়ী। তবে ছেলে দুটি মুক্তিযোদ্ধা।
সেই কোবাদ আলীকেও এক দিন ঘেটু রাজাকারের নির্দেশে রাধানগরের জনৈক খন্দকার এবং পাঞ্জাবি ক্যাপ্টেন জায়েদীর নির্দেশে প্রাণ দিতে হলো। জায়েদী পাবনা শহরের জামাই হয়েছিলেন, তবে তিনি ছিলেন পাকিস্তান আর্মির পাবনার গুপ্তচর সেই ৫০ দশক থেকেই ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত। জায়েদী বউ, ছেলেমেয়ে ফেলে পালিয়েছিলেন পাঞ্জাবে তার প্রথম স্ত্রীর কাছে। তিনি পালালেও পালাতে পারেনি সেই খন্দকারসহ আরও অনেক রাজাকার আলবদর, নেজামে ইসলামের এক মৌলানা। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা প্রশাসক নাজমুল আবেদীন খানকে বাধ্য করেছিলেন শহরের সব ব্যবসায়ীকে পাবনার সার্কিট হাউসে এসে পাকিস্তানের পক্ষে সংহতি জানাতে।
সেই নেজামে ইসলাম পার্টির মৌলানা ইসহাক হয়েছিলেন মালেক মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রী। দুর্ভাগ্যবশত আমিও সেই শীতসন্ধ্যায় সেই সভায় ছিলাম। গিয়ে দেখি ক্যাপ্টেন জায়েদী, রানীনগরের এবং আটুয়া কেষ্টপুরসহ যেখানে যত পাকিস্তানি সাপোর্টার, এমনকি ঈশ্বরদীর জল্লাদ বিহারি খোদাবঙ্ এবং পাবনা শহরের যত বিহারি কসাই, নাপিত এবং শহরের থানা-সংলগ্ন একদল তরুণ বিহারিকে, যাদের কণ্ঠে ছিল পাকিস্তানকে বাঁচাতে হবে, হাতে ছিল বন্দুক ও তরবারি। দুই পাকিস্তানের অটুট বন্ধন রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যারা পরাজিত হয়েছিল, তারাই দেশ স্বাধীনের মাত্র ৪৪ মাস পর গর্তের বাইরে এসে কামড়াতে শুরু করল পুরো জাতিকে। অনেকটা সেই সিন্দবাদের বুড়োর মতো।
ঘাড়ে যখন উঠতে পেরেছে তখন তাকে নামানো কঠিন। আর যারা তাদের কোলে তুলেছিলেন প্রথমদিকে, তারা তখন বুঝতে পারেনি সিন্দবাদের বুড়ো মাতৃক্রোড়ে শিশু হয়ে থাকবে না, উঠবে মাথায়, ঘাড়ে। ঠিকই উঠেছে। যারা কোলে-কাঁখে, ঘাড়ে, মাথায় তুলেছিলেন তারা হয়তোবা বুঝতে না পারলেও বহুদিন আগে শ্রী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ঠিকই বুঝেছিলেন। বন্যেরা বনে সুন্দর।
বন্যদের জন্য সুন্দরবনই ভালো। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ বসলেও চলবে না, বসলে আরও ভালো, অন্তত কৃষক, শ্রমজীবীরা বেঁচে যাবেন। জমি, বাড়িঘর অধিগ্রহণ যেমন করতে দেয়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরাও তাই করব, আলোহীন থাকব, থাকবে পুরনো পূর্ব পাকিস্তান। প্রিয় পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কালীপ্রসন্ন সিংহের সেই বিখ্যাত হুতোম প্যাঁচার নকশার একটি ছত্র- 'বুড়ো বয়সে সঙ সেজে রং কত্তে হলো।
পূজনীয় পাঠকগণ বেয়াদবি মাফ করবেন। ' -লেখক : কবি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।