আমি সদ্য সমাপ্ত পাক-ভারত ক্রিকেট ম্যাচের কথা বলছি না। বলছি সীমান্ত যুদ্ধের কথা। গত পরশু ভারতীয় সেনারা কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে একটি সেনা চৌকিতে হামলা করলে এক পাক সেনা নিহত ও একজন আহত হয়। ওই ঘটনার পর বিনা উস্কানিতে হামলার জন্য পাকিস্তান এরইমধ্যে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাঠিয়েছে। তবে, সীমানা পার হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ভারত বলেছে, তারা পাকিস্তানি হামলার জবাবে ওই হামলা চালিয়েছিল।
এই ঘটনার মাত্র একদিন পর পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে ভারতের দুই সেনা নিহত এবং আরো দু'জন আহত হয়েছে। একেই বলে উত্তম জবাব।
এতো গেল পাকিস্তান-ভারতের সীমান্ত সংঘাতে কথা। এবার নজর দিন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে। বিদায়ী বছর ২০১২ সালে বিএসএফ'র গুলি ও নির্যাতনে নিহত হন ৩৫ বাংলাদেশী।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হামলায় ৯৬৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
এভাবে একের পর এক বাংলাদেশি নিহত হলেও ভারতপ্রেমী হাসিনা সরকার টু শব্দটি করার সাহস পায়নি। উপরন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, 'ভারতের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী কেবল আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালানো যেতে পারে। ' তারমানে বিএসএফ আত্মরক্ষার্থেই বাংলাদেশিদের গুলি করে মারছে এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু বলার নেই। হায়রে নতজানু সরকার ! ধিক তোদের, শত ধিক!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।