ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবলারও এসেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল খেলতে। ফরাসি ফুটবলের সৌরভ ছড়াতে এবার প্যারিস থেকে এলেন ম্যাক্সিম বেলোইত। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের হয়ে আপাতত খেলবেন শুধু ফেডারেশন কাপে। তবে ক্লাবের পছন্দ হলে পুরো মৌসুমই দেখা যেতে পারে ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে
আপনাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে...
ম্যাক্সিম বেলোইত: ঠিকই ধরেছেন। প্যারিস থেকে কাল (পরশু) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি।
এসেই মাঠে নামতে হলো। ভালোভাবে বিশ্রামেরও সময় পাইনি। ক্লান্ত লাগছে।
বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে কি কোনো ধারণা আছে আপনার?
বেলোইত: না, এ দেশের ফুটবল সম্পর্কে কোনোই ধারণা নেই। তবে এই উপমহাদেশে আমি খেলেছি।
কোথায় খেলেছেন?
বেলোইত: গত মৌসুমে ভারতের আই লিগের ক্লাব সালগাওকারের হয়ে খেলেছি। ভারতে খেলা প্রথম ফরাসি ফুটবলার আমি। আমার খেলা দেখে অনেকে মোহনবাগানের ব্যারেটোর সঙ্গে তুলনা করত। ব্যারেটো আমার খুব ভালো বন্ধু। সালগাওকারের হয়ে আমি ২০১২ সালের এএফসি কাপেও খেলেছি।
এএফসি কাপে খেলার সময় ওমানে গিয়ে অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়েছিলাম। এরপর চিকিৎসা নিতে ফ্রান্সে ফিরে যাই।
দেশের বাইরে কি শুধু ভারতেই খেলেছেন?
বেলোইত: না। ২০১১ সালে সিঙ্গাপুরে এস লিগে খেলেছি। সালগাওকারের পর কিছুদিন খেললাম সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
কিন্তু আমিরাতে শুধু টাকাই আছে। কোনো সম্মান নেই। এক মাস খেলার পরই হয়তো আপনাকে বলবে, বিদায় হও। ওখানে ভারতের মতো দর্শকও নেই। এসব মোটেও ভালো লাগত না।
তাই এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশে চলে এলাম।
মুক্তিযোদ্ধা-শেখ রাসেল ম্যাচ খেলে কী ধারণা হলো?
বেলোইত: একটা মাত্র ম্যাচ খেলে তো কিছু বলা সম্ভব না। তবে ভারত আর বাংলাদেশের খেলার ধরন প্রায় একই রকম। ট্যাকটিক্যালি ভালো, কিন্তু গতিতে ইউরোপের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।
আপনি তো জিনেদিন জিদানের দেশের ফুটবলার।
কখনো তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে?
বেলোইত: একবারই হয়েছিল। তখন আমার বয়স ১২। প্যারিসে একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে আমি বলবয় ছিলাম। সেবার খুব কাছ থেকে তাঁকে দেখেছিলাম। জানেন, উনি আমার আইডল।
তাই জিদানকে সামনাসামনি দেখে মিনিট খানেক থ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমি কি সত্যি বিগ বসকে দেখছি!
এটা কি জানেন, ২০০৬ সালে জিনেদিন জিদান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলে গেছেন?
বেলোইত: (হাসি) হ্যাঁ, জানি। এখানকার একটি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হয়ে এসেছিলেন তিনি। তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে খেলেছিলেন। ওই সব ছবি আমি প্যারিসে বসে পত্রিকায় দেখেছিলাম।
আপনার ফুটবলার হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই...
বেলোইত: আমার বাবা ফুটবলার ছিলেন। খেলা ছেড়ে উনি এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। বাবা সব সময় চাইতেন আমি ফুটবলার হই। বাবাই আমাকে ফুটবলার হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
ফ্রান্সে কোন পর্যায়ে খেলেছেন?
বেলোইত: অনূর্ধ্ব-১৬ দলে একবার সুযোগ পেয়েছিলাম।
কিন্তু ইউরোপের সিনিয়র দলগুলোতে সুযোগ পাওয়া সত্যিই কঠিন ব্যাপার। আর পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে খেলেছি ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগের দল আমিয়েনস ক্লাবে।
আগামী বিশ্বকাপে আপনার ফেবারিট কে?
বেলোইত: আমি তো চাইব, ফ্রান্সই বিশ্বকাপ জিতুক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।