আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাফর স্যার, ফিকশন জ্বর এবং শাবিপ্রবি

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

জাফর স্যারকে আমি বুদ্ধিমান মনে করতাম, এখন দেখি উল্টো। উনি যখন যাদের পাশে পেয়েছেন তারা তাদের স্বার্থ উদ্ধারে তার সাথে ছিলেন। এখন তাদের স্বার্থ নেই।

তাই তারা সরে গেছেন। এটাই আমাদের জাতীয় চরিত্র! তিনি মাল মুহিত ও নাহিদ মন্ত্রীর কথা বলেছেন। এরা দুজনেই দলান্ধ-দলকানা - এটা সবাই জানলেও জাফর স্যার কি ভূল করলেন। মনে হয়- তাই করেছেন। নইলে ভোটের রাজনীতি বাদ দিয়ে এই দুই মন্ত্রী স্যারের মতের সাথে একমত হয়ে লড়বেন বা সহযোগি হবেন- এমন ভাবনা তার হয় কিভাবে।

এখানে স্যারের ভাবনার ভুল আছে। আমি জাফর স্যারকে পছন্দ করি না। তার লেখা কলাম ছাড়া অন্য কিছু পড়ি না। কিন্তু পদত্যাগের পর তার বিবৃতি মনযোগ দিয়া পড়লাম। তিনি হতাশ।

কিন্তু আশা তো আছে। অয়িনমের পাহাড়ের মধ্যে থেকে লড়াই করে টিকে থাকা এবং প্রয়োজনে কিছুটা সফলতা এবং পর্যায়ক্রমে সফল হওয়াটাকে আমি শ্রেয় মনে করি। আমাদের মত অতি রাজনীতি গ্রস্থ এবং নোংরা রাজনীতি আক্রান্ত-ক্ষমতা লিপ্সু দেশে হঠাৎ করে সব কিছু বদলে ফেলা কঠিন। আমি মনে করি স্যারের সরে যাওয়ার পশ্চিমা রেওয়াজ। এ দেশে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট তরুণ-কাঁচা ছেলে মেয়েদের বাহবা কুড়াতে সক্ষম।

কিন্তু রাজনীত-ক্ষমতা এবং দলাকানাদের জন্য কোনো উপদেশ অবশিষ্ট থাকবে না। তারা এটাকে তাদের বিজয় হিসাবে বিবেচনা করবে- যদিও নৈতিক বিচারে তা ঠিক না। কিন্তু আঞ্চলিক রাজনীতির বিচারে এটাই সঠিক। আমি ব্যাক্তিগতভাবে হুমায়ূন আহমেদের লেখার ভক্ত। এবং তাকে পছন্দ করি।

এমনকি তিনি শাওনকে বিয়ে করার পরেও আমি তাকে পছন্দ করি। এর কারণ তার মত অসাধারণ একজন মানুষ এই বঙ্গে জন্মেছেন যিনি সহজ কথা সহজ করে বলতে পারতেন এবং মানুষের মনোভাব বোঝার একটা অসম্ভব ক্ষমতা তার ছিল। যেটি ভাই হিসাবে জাফর স্যারের থাকার কথা। কিন্তু নেই দেখে আমি কিছুটা অবাক ও বিস্মিত হয়েছি। স্যার বলেছেন বামপন্থীরা আন্দোলনের সূচনা করেছেন।

করবেনই তো। পপুলার ইস্যুতে হঠাৎ করে নেতৃত্ব নেয়া বা দেয়ার জন্য বামরা ওস্তাদ। এটা কে না জানে! জাফর স্যার ভুলেই গেছেন আমাদের দেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের দল গঠনের কথা। তাকে গাছে তুলে দিয়ে জাফর স্যাররা সারা জীবন যাদের বন্দনা করেন তারা কীভাবে মই কেড়ে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বেচারা রণে ভঙ্গ দিয়ে বলেছিলেন- ‌ণ্রাড়া আর বেল তলায় যাবে না।

' আর দল করার মাশুল দিতে হচ্ছে তাকে এখনো। জাফর স্যারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। শিক্ষক পরিবারে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তাই আমি কোনো রকমের বাক্য ব্যয় ছাড়াই শিক্ষকদের পদধূলি নিই না কেবল পারলে লুটিয়ে পড়ি। শিক্ষকরা অনেক কিছু বলতে চান।

করতে চান। সফলও হন। তবে সময় লাগে। আমার বিবেচনায় ভর্তি পরীক্ষার মত একটা বিতর্কে স্যারের যাওয়াটা ঠিক ছিল না। আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে- তার সবই ভোট-রাজনীতির অংশ।

সুতরাং সেখানে স্থানীয়দের স্বার্থ দেখাটাকে আমি কোনো বিবেচনায় দোষের মনে করি না। আর এখণ তো শিক্ষক নিয়োগটাও ভোট-রাজনীতির অংশ। জাফর স্যার সৌভাগ্যবানদের একজন- যার অসংখ্য ভক্ত রয়েছেন। তারা সমব্যাথি। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাল নজরুল ইসলাম স্যার বিপরীত।

তার এত এত ভক্ত নেই। দেশের জন্য তার দান যে কোনো বিবেচনায় বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের পর আমার বিবেচনায় রয়েছে। যারা তার সম্পর্কে জানেন তারা এ বিষয়ে দ্বিম ত করবে না। কিন্তু জাফর স্যারের ফিকশন জ্বরে যারা আক্রান্ত তারা আমাকে গালি দিবেন- সেটি সহ্য করার ক্ষমতা এই অধমের আছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.