সুন্দর বাংলাদেশ চাই টিভিতে এখন ইত্যাদি চলছে। অনেক আগে থেকেই এটার উপর থেকে আগ্রহ উঠে গেছে। আর কিছুদিন আগে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক হানিফ সংকেতের সাথে দেখা করার পর অনুষ্ঠানটি দেখলে এখন বমির উপক্রম হয়।
২০১২ সালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবসের একটি ইনভাইটেশন কার্ড নিয়ে হানিফ সংকেত এর পল্লবীস্থ বাসা কাম স্টুডিওতে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সদা হাস্যোজ্জল এই সেলিব্রেটির সাথে একবার হাত মিলিয়ে জীবন ধন্য করবো।
আমার সেই আশার পাছাই লাথি মেরে তিনি পাঠালেন তার অফিসের এক লোককে। যাহোক নিরাশ হয়ে তার হাতে কার্ডটি দিয়ে বিদায় হচ্ছিলাম এমন সময় দেখি মিঃ সংকেত হাজির। টিভিতে দেখা যুবক হানিফের সাথে বাস্তবের পৌঢ় হানিফের কোন মিল খুঁজে পেলাম না। বুক খোলা শার্টের ভেতর দিয়ে তার বুড়ো সাদা পশম আর ভাঁজ পড়া চামড়া আমাকে একটু ভাবিয়ে তুলল, এটা মিঃ সংকেত সিনিয়র (হানিফ সংকেত এর বাবা) নন তো ?
তবে এসবের বাইরে আমার অবাক হওয়ার মাত্রা ছাড়িয়ে গেল তার আচরণ দেখে। তিনি আমাকে দেখে যেন ভিক্ষুক দেখলেন।
জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কে? কি চায়?
ওনার অফিসের লোকটা বললেন, ক্যন্টনমেন্ট থেকে এসেছে। দাওয়াতপত্র নিয়ে।
কিসের দাওয়াত?
আমি বললাম যা বলার।
উনি জিজ্ঞাসা করলেন, আর কে কে আসবে?
আমি কতিপয় ভিভিআইপির নাম বললাম।
উনার ভাব দেখে বুঝলাম এসব ভিআইপি তার কাছে কিছু না।
উনার মুডই বলে দিচ্ছিল আমার সেখানে অবস্থান তার সহ্য হচ্ছিলনা।
তাই বেরিয়ে এলাম। মনে মনে বললাম, আমার হ্যান্ডশেক এর দরকার নাই। তার দৃষ্টিতে আমি যে অচ্ছুত প্রাণিতে পরিণত হয়েছি আপাতত তা থেকে রক্ষা পাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।