কম সময়ে সত্যিকারের আবেগ আর গল্প তুলে ধরতে প্রয়োজন অ্যানিমেশনের। এ ক্ষেত্রটি অনেক বড়। বাংলাদেশের ভেতরে অ্যানিমেশনের বড় বাজার তৈরি হলে এখানেও কাজের সুযোগ বাড়বে। আর তখনই দেশের বাইরেও নিজেদের কাজের চাহিদা তৈরি করতে পারবেন অ্যানিমেটররা। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলো কার্যালয়ে তরুণ প্রজন্মের কার্টুনিস্ট, অ্যানিমেটরদের সঙ্গে ‘মুখোমুখি’ শীর্ষক আড্ডায় ২০০৭ সালের বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি অস্কার বিজয়ী নাফিস বিন যাফর এসব কথা বলেন।
আড্ডায় নাফিস জানান, কম্পিউটার ও চিকিৎসাবিজ্ঞান দুই বিষয়েই পেশা গড়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখে সৃজনশীল কাজ করা যায়, তাই প্রোগ্রামার হয়ে গেলাম। অ্যানিমেশনে সফল হতে তিনি অ্যানিমেটরদের শুরু থেকেই নানা ধরনের কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, নিজের কাজটাকে ভালোবাসতে হবে, তবেই সফল হওয়া যাবে।
এখন দুটি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের কাজ করছেন নাফিস।
জানালেন আগামী বছর এই দুটি ছবি মুক্তি পাবে।
এ আয়োজনে কার্টুনিস্টদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, তিনি নিজেও তাঁদের কাজের ব্যাপারে জানতে চান। এতে উপস্থিত ছিলেন সাদাত, জুনায়েদ আজীম চৌধুরী, মো. মোরসালিন, তামিম, শিখা, আরাফাত করিম, এস এম রাকিব, আসিফুর রহমান, ষুভ, পাভেল মহিতুল আলম, আদনান মুকিত, মো. সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
পেশায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী নাফিস বিন যাফর বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশনের মুখ্য প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি ডিজিটাল ডোমেইনে কাজ করেছেন।
সে সময় পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ডস অ্যান্ড ছবিতে বিশেষ আবহ তৈরির জন্য ফ্লুয়িড অ্যানিমেশন কৌশল তৈরি করে ২০০৭-এর কারিগরি অস্কার জেতেন। ট্রান্সফরমার-২, কুং ফু পান্ডা-২, শ্রেক: ফরএভার আফটার, মাদাগাস্কার-৩, ২০১২ ইত্যাদি ছবির অ্যানিমেশন ও বিশেষ আবহ সৃষ্টির জন্য কাজ করেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাসরত নাফিসের জন্ম ঢাকায়।
অনুষ্ঠানে নাফিসের হাতে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে বই তুলে দেন ফিচার সম্পাদক সুমনা শারমীন। নিজের আঁকা নাফিসের ক্যারিকেচার উপহার দেন কার্টুনিস্ট সাদাত।
তাৎক্ষণিকভাবে কার্টুনিস্টদের আঁকা একটি টি-শার্টও দেওয়া হয় তাঁকে।
এ আয়োজনে বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট মানিক-রতনের তৈরি অ্যানিমেশন ছবি আনসলভ স্টারস দেখানো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।