ক্রিকেটের অলিগলি ছিল হাতের তালুর মতোই চেনা। কিন্তু রাজনীতি? যত বড় ক্রিকেটারই হন না কেন; এটি বোঝা এত্ত সহজ নয়। অন্তত শচীন টেন্ডুলকারের মতো নিপাট ভদ্রলোকের তো বোধগম্য হওয়ার কথাই নয়। জানলে হয়তো আগেই বলে দিতেন ‘ভারতরত্ন’ চাই না আমার!
কদিন আগেই লিটল মাস্টারকে সবচেয়ে বড় বেসামরিক খেতাব দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন দুই ব্যক্তি। এর কদিন না যেতেই আবারও একই চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হলো মাদ্রাজ উচ্চ আদালতে।
আইনজীবী কানাকাসাবাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি আরকে আগারওয়াল এবং বিচারপতি এম সত্যনারায়ণ গঠিত বেঞ্চ ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেছেন আদালত ।
কানাকাসাবাই ভারতরত্ন পুরস্কার প্রসঙ্গে বলেন, প্রজ্ঞাপনের (১৯৫৪ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত) ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিষ্কার বলা হয়েছে, শিল্প, সাহিত্য এবং বিজ্ঞানে অনন্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার প্রদান করতে হবে। তাঁর যুক্তি, গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী যে দুজনকে (শচীন টেন্ডুলকার ও বিজ্ঞানী সিএনআর রাও) ভারতরত্ন খেতাব দিয়েছেন, সেটি প্রজ্ঞাপনবিরোধী।
কানাকাসাবাইয়ের ‘লড়াইটা’ মূলত টেন্ডুলকারের বিরুদ্ধেই। এ আইনজীবীর যুক্তি, প্রজ্ঞাপনের নিয়মানুযায়ী বিজ্ঞানী রাও ভারতরত্ন পেতে পারেন।
তবে টেন্ডুলকার মোটেও যোগ্যতার শর্ত পূরণ করেননি। কেননা, লিটল মাস্টার শিল্প, সাহিত্য কিংবা বিজ্ঞানে অবদান রাখেননি।
কিন্তু কথা হলো, দুই যুগ ধরে ২২ গজে তিনি যা করেছেন তা শিল্পের চেয়ে কোন অংশে কম? তা ছাড়া যে টেন্ডুলকারকে ভারতীয়রা দেবতার আসনে বসিয়েছে, তাঁর পুরস্কার নিয়ে কেন প্রশ্ন? এর নেপথ্যেও রাজনীতি। ভারতরত্ন নিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক। আর সেটারই ফিতে কাটা হয়েছে টেন্ডুলকার ও রাওকে এ খেতাবে ভূষিত করার মধ্য দিয়ে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।