তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান ইমামের এই অনুষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ তৈরি হয়েছে।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা ছিল এইচ টি ইমামের বিদায় সংবর্ধনা। আর এইচ টি ইমামও বক্তব্যে রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইমাম শেখ হাসিনার জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর তিনিসহ পাঁচজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন।
তাদের স্থলে যাদের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে, তারা সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা। শুধু সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
গত ২৬ নভেম্বর পদত্যাগপত্র দেয়া এইচ টি ইমাম রোববার সকাল পৌনে ১২টায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরি কক্ষে অনাড়ম্বর বিদায় সংবর্ধনা নেন।
বিদায় অনুষ্ঠানে এইচ টি ইমাম বলেন, “দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে, আগামীতে যে সরকারই আসুক আপনারা নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন। ”
বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ মিনিটের বক্তৃতায় মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সচিব তার কর্মজীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,“সরকার আসবে সরকার যাবে, কিন্তু আপনারা বিধিবিধান অনুযায়ী কাজ করে যাবেন। ”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুস সোবহান শিকদার এইচ টি ইমামের প্রশংসা করে বলেন,“তার ভূমিকার জন্য এ সরকারের সময়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরির মেয়াদ বেড়েছে। প্রচুর সংখ্যক পদোন্নতি দেয়া হয়েছে এবং পে-কমিশন গঠন করা হয়েছে। ”
প্রায় ৩০ মিনিটের এই অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তাই উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসনের তথ্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিদায় অনুষ্ঠান ছিল অনানুষ্ঠানিক। ”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য কয়েকদিন হতে সাবেক এই উপদেষ্টার কাছে সময় চাওয়া হচ্ছিল, সময় পাওয়ায় রোববার হঠাৎ করেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।