ব্যাংককে সরকারবিরোধীরা ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চালিয়ে ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি তোলে প্রতিবাদকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইংলাক বলেন, এই পরিস্থিতিতে এই দাবি পূরণ সম্ভব নয়। তবে তিনি সরাসরি আলোচনার পথ এখনো খুলে রেখেছেন।
সোমবার সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে যখন প্রতিবাদকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলের চেষ্টা করেন।
২০১০ সালের পর এটাই থাইল্যান্ডে সবচেয়ে বাজে রাজনৈতিক সহিংসতা বলে বিবিসি জানিয়েছে।
এরই মধ্যে এই সহিংসতায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন।
টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে ইংলাক বলেন, “জনগণকে খুশি করার জন্য আমি সবকিছু করতে পারি। আমি খুশি হয়েই এটা করবো। কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি কি করতে পারি। “
এদিকে আন্দোলনের নেতা সুথেপ থাউগসুবান রোববার বলেন, “আগামী দুই দিনের মধ্যে ইংলাকের পদত্যাগ করা উচিত।
“
প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ ইংলাক সরকার তার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিলিওনিয়ার থাকসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক গণআন্দোলনের পর ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন থাকসিন।
ইংলাকের বিরুদ্ধে ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া লাগাতার আন্দোলন শনিবার থেকে সহিংস রূপ ধারণ করে।
আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলের চেষ্টা করে। পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সোমবার আন্দোলনকারীরা আবারো রাস্তায় ফিরে আসে এবং আরো বড় আকারে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিবিসির প্রতিনিধি জোনাহ ফিশার জানান, তরুণ আন্দোলনকারীরা রাস্তায় দাঙ্গা পুলিশকে উসকানোর চেষ্টা করছে এবং পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করছে।
ইংলাক বলেন, প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে বাহিনী ব্যবহার করার ক্ষমতা তার নেই।
তিনি জানান, “সেনাবাহিনী স্বাভাবিকভাবে নিজেরাই অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
“
বিবিসির প্রতিনিধি আরো জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনা কর্মকর্তারা পুলিশকে সাহায্য করার জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। হয়তো তারা কোনো অস্ত্র বহন করবেন না এবং বিশেষ করে সরকারি কার্যালয়গুলোতে দাঙ্গা পুলিশের পেছনে থেকে টহল দেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।