গত পর্বে ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনায় নতুনরা আসলে কি করণিয় সে বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। নতুন জব নিয়ে নিজেই ব্যস্ত থাকায় এ বিষয় পোস্ট দেয়া হয়নি। অবরোধে একটু ফ্রি আছি ভাবলাম এ বিষয়ে কিছু শেয়ার করি।
এ পর্বে আলোচনা করব ব্র্যান্ডে নতুন জবে জয়েন করার আগে ও পরে কি করণিয়। (ম্যানেজারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
নতুন প্রতিষ্ঠানে জয়েন করার পূর্বে জেনে নিন প্রতিষ্ঠানটির উদ্ধর্তন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ/ মালিক এর ব্র্যান্ড নিয়ে ভাবনা কি? আত্ববিশ্বাস থাকলে ইন্টারভিউ বোর্ডেই জেনে নিতে পারেন তাদের ভিউ।
খরচের ব্যাপার স্যাপার তাই আগে থেকে জানলে কাজ করতে সুবিধা হবে।
মার্কেট থেকে জেনে নিন পণ্যটির বর্তমান অবস্থান, ব্র্যান্ডিং করলে কোন পজিশনে নিয়ে যেতে পারবেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
সব ভেবে চিন্তে জয়েন করেই প্রথম যে কাজটি করবেন তা হলো আগের ব্র্যান্ড ম্যানেজার কি করেছেন তাতে চোখ বুলিয়ে নেয়া। অধঃস্তন ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভদের সাথে ভাব গড়ে তোলার পাশাপাশি সেলস্ এর কর্মকর্তাদের সাথে পরিচয় পর্ব সেরে নেয়া। এজেন্সি/ভেন্ডরদের ডেকে কথা বলা এবং তাদের সাথে আপনার ভালো কাজ হবে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করা এবং সাপোর্ট চাওয়া।
প্রথম ধাপ : সেলস্/ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভদের ব্র্যান্ড ডিমান্ড ফরমেট ধরিয়ে দিন এবং ছক করে দিন ক্রেতা/ডিলার/রিটেইলার আপনার পণ্যটাকে কেমন অবস্থানে দেখতে চান? এবং তার জন্য কি কি করতে হবে?
দ্বিতীয় ধাপ : অধঃস্তন ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ বা মার্কেট থেকে তথ্য নিন প্রতিযোগী কোম্পনী কি কি ব্র্যান্ড এক্টিভিটিস করছে।
তৃতিয় ধাপ : অফিসারদের কাছ থেকে ডিমান্ড ফরমেট জমা নিয়ে রিসার্চ করে ডকুমেন্টস আকারে করুন। এবার নিজে নিজে ছক আকুন আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন কোন কোন মাধ্যমে প্রদান করলে টার্গেট কাস্টমারেকে হিট করতে পারবেন। এবার অফার আকারে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষর কাছে সাবমিট করুন।
বোনাস : বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০ ব্র্যান্ড
চলবে.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।