বুধবার রাজধানীর বারিধারায় নিজের বাড়িতে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এক দিন আগে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো এরশাদ বলেন, সুজাতা তাকে বৈঠকে বলেছেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না হলে ‘অগণতান্ত্রিক শক্তি কিংবা জামায়াত-শিবিরের’ উত্থান ঘটতে পারে।
সাবেক এই সেনা শাসক বলেন, “আমি তাকে বলেছি। জামায়াত-শিবিরের উত্থান হোক এটা আমিও চাই না। যদি উত্থান ঘটে, তাহলে সে দায় সরকারের, আমার নয়।
”
ঢাকা সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব এরশাদের বাড়ি প্রেসিডেন্টস পার্কে পৌঁছান বিকাল ৪টায়।
প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে সুজাতা সাংবাদিকদের শুধু বলেন, “ইট ওয়াজ এ গুড মিটিং।
এর প্রায় ২০ মিনিট পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ।
তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলে সুজাতা তাকে জানিয়েছেন।
“আমি তাকে বলেছি, এই অবস্থায় দেশে নির্বাচন সম্ভব নয়।
এই সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে নেই। ”
জাতীয় পার্টি প্রধান বলেন, সুজাতা তার কাছে জানতে চেয়েছেন- বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে, সেই পরিস্থিতির উন্নতির কোনো আশা তিনি দেখছেন কি না।
“আমি বলেছি অবস্থা আরো খারাপ হবে। আমি আমার পার্টির নেতাকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত।
”
এরশাদ ও তার দলের প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারির ভোটে অংশ নেয়ার জন্য সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, বিরোধী দল বিএনপিসহ সব দল না আসায় এবং ‘পরিবেশ না থাকায়’ জাতীয় পার্টি দশম সংসদ নির্বাচনে যাবে না।
সুজাতার সঙ্গে বৈঠকের পর সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমার শেষ কথা হলো- আমি নির্বাচনে যাব না, যাব না। তোমরা যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছ, তারা প্রত্যাহার করে নাও। আর সর্বদলীয় সরকারে যারা আছ, তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। ”
এরশাদের স্ত্রী ও ভাইসহ ও জাতীয় পার্টির সাত শীর্ষ নেতা নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকারে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।