আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অগণতান্ত্রিক শক্তি যেন সুযোগ না পায়: হাসিনা

রোববার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে গাজীপুরের প্রথম মেয়র বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানসহ নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা শপথ নেন।
মেয়র মান্নানকে শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী। কাউন্সিলররা শপথ নেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে।
শেখ হাসিনা বলেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রে দল ও মতের ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

এর সুযোগ নিয়ে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। ”
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে মতপার্থক্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী একথা বললেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের পর নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা আওয়ামী লীগ বলে এলেও বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে।
বিগত সাড়ে ৪ বছরে অনুষ্ঠিত ৫ হাজার ৬৯১টি নির্বাচনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা চাই জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
“এ সব নির্বাচনে ৬৩ হাজার ৯০৯ প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন।

অতীতে দেশে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের ফলাফলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি এবং কেউ এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগও উত্থাপন করতে পারেনি। ”
গাজীপুরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কল্যাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
“আসুন, এদেশ যেন মাথা উঁচু করে আরো এগিয়ে যেতে পারে, এলক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করি। ”
গত ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত এম এ মান্নান আওয়ামী লীগ সমর্থিত আজমতউল্লাহ খানকে ১ লাখের বেশি ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হন।


শপথ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান ও প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
শপথ নিতে পারেননি কাউন্সিলর গিয়াস
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশরনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন সরকার আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় রোববার শপথ নিতে পারেননি।
সম্প্রতি গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. নজরুল ইসলামের দায়ের করা এক আবেদনে আদালত তার শপথে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
খেলাপি ঋণ থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা গিয়াসের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে হেরে যান তিনি।


এরপর তিনি উচ্চ আদালতে গেলে আদালত নির্বাচন কমিশনের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করলে নির্বাচন করার সুযোগ পান গিয়াস।
উচ্চ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর গিয়াস উদ্দিনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ অগাস্ট আদালতে যান নজরুল। ওই দিনই গিয়াসের শপথ নেয়ার ওপর স্থগিতাদেশ আসে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.