আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেলরের ডাবল সেঞ্চুরি

মাত্র এক মাসের ব্যবধানে যেন বদলে গেছে নিউজিল্যান্ড।

অক্টোবরে-নভেম্বরেই যে দলটা বাংলাদেশে এসে নাকানি-চুবানি খেয়ে গেল সেই নিউজিল্যান্ডই কিনা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তাই দিচ্ছে না। টাইগারদের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ তো হয়েছিলই, ড্র হওয়া টেস্ট সিরিজেও কিউইদের অবস্থা ছিল 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি'। এই দলটাই কিনা ঘরের মাঠে সম্পূর্ণ বদলে গেছে। কাল রস টেলরের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে ডানেডিন টেস্টে রানের পাহাড়ে পেঁৗছে গেছে স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৬০৯ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েছে। মাত্র ২৪ রানেই তারা দুই উইকেট হারায়। দিন শেষে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান করেছে সফরকারীরা। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এখনো ৫৪২ রানে পিছিয়ে ক্যারিবীয়রা।

ফলোঅন এড়াতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে আরও ৩৪১ রান। এক বছর আগেও ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন রস টেলর। অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ায় অভিমান করেই অবসর নেওয়ার চিন্তা করছিলেন। সেই টেলরই কিনা খেললেন ২১৭ রানের হার না মানা একটি ইনিংস। টেলর ১৩তম কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আউট হয়ে যান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রান্ডন ম্যাককালাম। ১১৩ রান করে ক্যারিবীয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির বলে তিনি সরাসরি বোল্ড হয়ে যান। তবে এর আগেই টেলরের সঙ্গে ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ম্যাককালাম। যা চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড জুটি। রস টেলর দীর্ঘ আট ঘণ্টা ব্যাটিং করে ডাবল সেঞ্চুরি করেন।

তিনি মোকাবিলা করেছেন মোট ৩১৯ বল, বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ২৩টি। তবে একবার নতুন জীবন পেয়েছেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। ১৩১ রানের মাথায় স্পিনার শিলিংফোর্ডের বলে শর্ট লেগে কাইরন পোলার্ড ক্যাচ মিস করেন। আগের দিন যেখানে শেষ করেছেন, কাল ঠিক সেখান থেকেই শুরু করে কিউইরা। রান তোলার গতিই ছিল ওয়ানডে স্ট্রাইলেই।

এক প্রান্ত আগলে রেখে ধৈর্যের সঙ্গে ব্যাটিং করেছেন টেলর। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও তাকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছে। সে কারণেই আগের দিনের ৩৬৭ রানের স্কোরকে নিয়ে যান ৬০৯ রানে। ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট নিয়েছে টিনো বেস্ট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ডিওনারিন ও স্যামি।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।