বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
ওই সামগ্রীগুলোর মধ্যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ কোবাল্ট-৬০ ছিল। কয়েকটি নিরাপদ খাঁচার মধ্যে এই প্রাণঘাতী পদার্থটি রাখা ছিল।
কিন্তু না বুঝেই চোরেরা ওই খাঁচাগুলো খুলে পদার্থ ধারকটি বের করে নাড়াচাড়া করে। পরে এটি কী কাজে লাগতে পারে বা গুরুত্ব বুঝতে না পেরে ট্রাকসহ মালামালগুলো ফেলে রেখে যায়।
মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির যে এলাকা থেকে ট্রাকটি চুরি হয়েছিল সেখান থেকে ২ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা থেকে পরে ট্রাকটি উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে এরই মধ্যে চোরদের যা সর্বনাশ হওয়ার তা হয়তো হয়ে গেছে। কিছু না বুঝেই কোনো সাবধানতা ছাড়াই মারাত্মক প্রাণঘাতী তেজস্ক্রিয় পদার্থ নাড়াচাড়া করেছে তারা। এতে নিজেদের অজান্তেই তেজস্ক্রিয়তার বিষে হয়তো তারা আক্রান্ত হয়েছেন।
আর তা হয়ে থাকলে এটি নিশ্চিতভাবে তাদের জীবন সংশয়ের কারণ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে যে এলাকা থেকে মালামালসহ ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে সেই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এটি কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করবে না বলে জানিয়েছেন তারা। শুধুমাত্র নাড়াচড়ার মাধ্যমেই কোবাল্টের তেজস্ক্রিয়তা দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রাতে একটি পেট্রল পাম্পে ট্রাকটি থামিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন চালকরা। এ সময় চোরেরা হানা দেয়। আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে চালকদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেঁধে ফেলে, তারপর ট্রাকটি নিয়ে চম্পট দেয়।
মেক্সিকো ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি কমিশন (এনএনএসসি) কর্মকর্তা মাদদোনিয়ো জিমিনেজ জানিয়েছেন, তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো নিরাপদ খাঁচা থেকে বের করে একটি ৫শ’ মিটার দূরে ও অপরটি ৭শ’ মিটার দূরে ফেলে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেছেন, পদার্থগুলো উচ্চমাত্রায় তেজস্ক্রিয় হওয়ায় যেই এগুলো খুলে থাকুক সে মারা যেতে পারে।
তিনি বলেন, “তাদের হাসপাতালে আসতেই হবে, আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। ”
তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো এখন কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপদে আছে আর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল সিল করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।