আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যালন ডি’অরে ভোটই দেননি লো!

ভোট বলতেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে পর্দাঘেরা সেই ব্যালটবাক্স, যেখানে পছন্দের প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানানো যায় অতিগোপনে। কাকে ভোট দেওয়া হলো সেটি যাতে ঘুণাক্ষরে কেউ টের না পায়, সে জন্যই এ ব্যবস্থা। কিন্তু ফিফার ভোট পদ্ধতিটি ভিন্ন। ব্যালন ডি’অরের জন্য কে-কাকে ভোট দিলেন, তাত্ক্ষণিকভাবে না জানা গেলেও পরে ঠিকই তা প্রকাশ করে ফিফা।
এই পদ্ধতিটা ঝামেলায় ফেলে দিয়েছে জার্মানির কোচ জোয়াকিম লোকে।

ফিফা বর্ষসেরা সংক্ষিপ্ত তালিকায় ম্যানুয়েল নয়্যার, ফিলিপ লাম, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগার, টমাস মুলার ও মেসুত ওজিলের মতো তাঁর পাঁচজন শিষ্য রয়েছেন। লো এঁদের একজনকে সেরা, একজনকে দ্বিতীয় সেরা এবং আরেক জনকে তৃতীয় সেরা হিসেবে বেছে নিতে পারতেন।
কিন্তু বিশ্বকাপ সামনে রেখে তিনি চাননি তিনজনকে ভোট দিয়ে দুজন শিষ্যকে বঞ্চিত করতে। আবার এই তিনজনের মধ্যে কাউকে সেরা নির্বাচন করাটাও হয়তো বাকি চারজনের মন খারাপের কারণ হতো। বিশ্বকাপের আগে এই উটকো ঝামেলা ডেকে আনার কোনো মানেই হয় না।


এ কারণে এবার ভোট দেওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। লোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)। ডিএফবির মুখপাত্র ইয়েন্স গ্রিটার বলেছেন, ‘আসলে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তাঁর পক্ষে এবার ভোট দেওয়া সম্ভব ছিল না। এ কারণেই ভোটদানে তিনি বিরত থেকেছেন। ’
অবশ্য লোর সামনে আরেকটি দরজা খোলাই ছিল।

তিনি চাইলেই জার্মানির বাইরের তিনজনকে ভোট দিতে পারতেন। কিন্তু নিজেদের শিষ্যদের বাদ দিয়ে অন্যদের ভোট দেওয়ার দরকারটাই বা কী! হয়তো এটাই ভেবেছেন এই কোচ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.