মুক্তিযুদ্ধের সময় নিয়মিত রেডিও শুনতাম।
বিজয়ের খবরটিও প্রথম রেডিওতে পেয়েছি। ১৫ ডিসেম্বর রাতে বিবিসি খবরে জানাল, আমরা স্বাধীন হতে যাচ্ছি। ওইদিন মার্কটালি জানিয়েছিলেন, অবশেষে পাকবাহিনী আত্দসমর্পণ করতে যাচ্ছে। এর আগে অবশ্য ১৩ ডিসেম্বর তিনি জানিয়েছিলেন, তারা আত্দসমর্পণ করবে না।যাই হোক শেষ পর্যন্ত ১৬ ডিসেম্বর এলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্দসপর্মণের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের বিজয় উল্লাস। ভিড়ের মধ্যে উদ্যানে ঢুকতেই পারলাম না। রমনা হোটেলের সামনে থেকে ফিরে আসতে হলো। সেই বিজয়ের আনন্দের কথা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
তখন যদি আমার সঙ্গে ক্যামেরা থাকত তাহলে একেকটি উল্লসিত চেহারার এঙ্প্রেশন তুলে রাখতাম। এখন খুব অনুভব করি, মিস হয়ে গেছে। প্রতিটি মানুষের মুখের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল কতটা অপেক্ষার অবসান হয়েছে। আমার মনে হয়েছিল, একটি পাখিকে দীর্ঘদিন পর খাঁচা থেকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়ার যে আনন্দ, বাঙালির বিজয় আনন্দ তার চেয়েও বেশি ছিল। এখনো মনে মেখে আছে সেই মুহূর্তগুলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।