ভাঙ্গতে পারবে না আমি ভঙ্গুর নই। ছুঁতে পারবে না কভু যদি ক্ষিপ্র হই। আমি ফুটবল বুঝতে শিখে ধরে ব্রাজিলের দাপট দেখেছি (১৯৯৪ থেকে ২০০৬)। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রাজিলের বিশাল ভক্ত আমি। রোনালদো রোনালদিনহোদের খেলা দেখে আনন্দে আত্নহারা হয়েছি।
কিন্তু রোনালদিনহোর যখন সেরা হওয়ার সময় তখন তার নাইট ক্লাবের বেপরোয়া নষ্ট জীবন তাকে আর এগোতে দেয়নি। যে বিশ্বকাপে রোনালদিনহো সবাইকে মোহিত করবে সেই বিশ্বকাপের (২০০৬ বিশ্বকাপ) দিনগুলোতেই নাইট ক্লাব আর মেয়ে মানুষ নিয়ে রাত জাগা তাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তা না হলে আমি নিশ্চিত রোনালদিনহো এতোদিনে ৪ বার ফিফা বর্ষসেরার খেতাব পেতো।
এভাবে ব্রাজিলের ভক্ত হয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সাথে ব্রাজিলের ফাইনালে আমি জিদানের ভক্ত বনে যাই। জিদান ঐদিন দেখিয়েছিলো ফুটবল একজনের খেলা।
জিদান বনাম ব্রাজিলের খেলায় জিদান একাই ঐবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছোলো ফ্রান্স কে। এজন্য আজ পর্যন্ত আমার দেখা সেরা খেলোয়াড় জিদান। ও শুধু ভাল খেলোয়াড়ই না একজন ঝানু ব্রেইনি খেলোয়াড়। যখন যা করা দরকার তখন তা করে দেখিয়েছে।
আর এখন আমি আস্তে আস্তে মেসির ভক্ত হয়ে পড়েছি।
ফুটবলের প্রতি চরম ভালবাসা থেকেই এমনটি হয় আমার, যে ভাল খেলে তার খেলা খুব উপভোগ করি। মেসি কেন সেরা হবেনা?? যে উপরে উঠে এখনো নষ্ট হয়নি। অনেক ক্ষুধার্থ, এটা আমি খুব খেলায় করে দেখেছি। যত দিন যাচ্ছে ফুটবলের প্রতি তার ভালবাসা বেড়েই চলছে। আর এই ভালবাসা থেকেই সে দিনকে দিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
ভিলানোভা মনে করেন, ফুটবলের প্রতি মেসির টান, মেসির ভালোবাসাটা এখনো শিশুসুলভ পর্যায়ে আছে। একটি শিশু হাতে বল পেলে যেমন খুশি হয়ে ওঠে, ফুটবল নিয়ে মেসির আনন্দটাও অনেকটা সেরকম। ওর খেলা দেখলে ওকে সেরা না মানার কোন কারণ নেই। দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়। দুর্দান্ত দায়িত্বের প্রতি আনুগত্য এবং ফুটবলের প্রতি ভালবাসা।
ক্যারিয়ারের চুড়ায় উঠে নষ্ট হয়ে আমাদের হতাস করেনি। বরং উপরের দিকে উঠেই চলছে। তারপরেও বিশ্বকাপ না জিতলে কেউ তাকে মনে রাখবে না। এটাই বাস্তবতা। আমি চাই ও ফুটবলকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাক যেখানে ফুটবল মানেই সৌন্দর্যের সাথে সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা মনে হয়।
অনেক গোল করেছে তারপরেও বার্সাকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেনি বলেই একটু পিছিয়ে আছে। যদিও সবাই বলছে ৩ জনের মাঝে বিশাল প্রতিদন্দীতা হবে Click This Link , এবারের বর্ষসেরা মেসি হবে এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। তবে ইনিয়েস্তা হলেও অবাক হবো না, কারণ গত ৫/৬ বছর ধরে স্পেন ফুটবলের যে দাপট তার মধ্যমনিই হলেন ইনিয়েস্তা। এমন একজন খেলোয়াড় একবার বর্ষসেরা না হলে বেমানান হয়ে যায়। যদিও সে মেসি-রোনালদোর মত চোখ ধাঁধানো ফুটবল খেলে না।
রোনালদো অনেক কার্যকরী খেলোয়াড়। রোনালদো বর্ষসেরা হতে পারতো যদি ইউরোতে পর্তুগালকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতো, কিম্বা বছরের শেষের দিনগুলোতে একইভাবে গোল করে যেতে পারতো। ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনালে হল্যান্ডের সাথে তার দুর্দান্ত খেলা ভুলার নয়। ইউরোর সেমিতে ট্রাইব্রেকারের সময় কোচের নির্বুদ্ধিতার কারণে ওরা হেরে যায় স্পেনের সাথে আর তারই খেসারত হয়তো দিতে হবে রোনালদোকে ফিফা ব্যালড ডি অর হারিয়ে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।