গত মাসে দিল্লিতে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতে সোজা চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে প্রথমবারের মতো গলফের বিশ্বকাপসহ দুটি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার পর খেলেছেন ইন্দোনেশিয়া ও হংকংয়ে। টানা পাঁচটি টুর্নামেন্ট শেষ করে পরশু সিদ্দিকুর রহমান ফিরেছেন ঢাকায়।
বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, বিশ্বকাপের লিডারবোর্ডে অন্তত সেরা দশে থাকতে চান। কিন্তু প্রত্যাশামতো ফল করতে পারেননি, হয়েছেন ৫৫তম।
তবে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়াটাই তাঁর কাছে একটা অর্জন, ‘যেমন আশা করেছিলাম তেমন ফল হয়নি বিশ্বকাপে। ওখানে আবহাওয়া একটা বড় সমস্যা। এশিয়ায় আমরা যে রকম কন্ডিশনে খেলি, ওখানকার কন্ডিশন তার চেয়ে ভিন্ন। ওখানে একই দিনে চার রকমের আবহাওয়া দেখেছি। আমার ক্যারিয়ারে কোথাও আগে এমনটা দেখিনি।
জীবনে প্রথম এমন কন্ডিশনে খেললাম। বড় একটা অভিজ্ঞতা হলো। ’ গলফ খেলা হয় সবুজ কোর্সে। কিন্তু মেলবোর্নের কোর্সটা এতই সবুজ ছিল যে তাঁকে এতে ভুগতে হয়েছে, ‘ওখানে যে কোর্সে খেলেছি সেটা একেবারেই অন্য রকম। সাধারণ কোর্স কিন্তু অসম্ভব রকমের সবুজ।
আবার অনেক জায়গায় ছিল বেশি উঁচু-নিচু এবং নরম। আসলে ওই রকম কোর্সে খেলতে অভ্যস্ত নই বলেই হয়তো ভালো করতে পারিনি। ভবিষ্যতে কখনো যদি ওই রকম কোর্সে খেলি, ইনশাআল্লাহ ভালো করব। ’
অস্ট্রেলিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে একটা টুর্নামেন্টে চতুর্থ হয়েছেন সিদ্দিকুর। তবে হংকংয়ে পরের টুর্নামেন্টেই আবার কাট মিস করেছেন।
শারীরিক অসুস্থতাও হংকংয়ে খারাপ খেলার একটা কারণ বলে জানালেন বাংলাদেশের সেরা গলফার, ‘ইন্দোনেশিয়ায় কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু হংকংয়ে একদমই খেলতে পারিনি। ওখানে থাকতেই অনেক ঠান্ডা লেগে যায়। সর্দিজ্বরও ছিল। অসুস্থতার কারণেই ভালো খেলতে পারিনি।
’
ঠাসা সূচিতে ক্লান্ত সিদ্দিকুর আপাতত তিন সপ্তাহ থাকবেন বিশ্রামে। জানুয়ারিতে কিংস কাপে খেলতে যাবেন থাইল্যান্ডে। এ বছরেই হওয়ার কথা ছিল এই টুর্নামেন্টটি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।