অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টেও বড় জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২১৮ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ব্রিসবেন টেস্টে স্বাগতিকেরা জিতেছিল ৩৮১ রানে। পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেল ২-০তে।
ইংল্যান্ড অ্যাডিলেডেও বড় ব্যবধানে হারতে চলেছে, এটা অনুমিতই ছিল।
৫৩১ রানের লক্ষ্যে খেতে নেমে গতকাল দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২৪৭ রান। আজ টেস্টের শেষ দিনে নিজেদের ইনিংসটা টেনেটুনে ৩১২ রান পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। হারটা অবশ্য ইনিংস ব্যবধানেও হতে পারত। সেটা হয়নি ফলোঅনে ফেলেও ইংল্যান্ডকে আবারও অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে না পাঠানোয়।
মাইকেল ক্লার্ক (১৪৮) ও ব্রাড হাডিনের (১১৮) সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৯ উইকেটে ৫৭০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। আগুনঝরা বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ছারখার করেন মিচেল জনসন। মাত্র ৪০ রান খরচায় সাতটি উইকেট তুলে নেন অস্ট্রেলীয় এই ফাস্ট বোলার। অস্ট্রেলিয়া চাইলে ইংল্যান্ডকে আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পারত। কিন্তু সেটা না করে নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নামেন মাইকেল ক্লার্করা।
দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য বেশিক্ষণ ব্যাট করেনি অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত ৮৩ রানের ওপর ভর করে ৩ উইকেটে ১৩২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকেরা। ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৩১ রান। কঠিন লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ইংল্যান্ড থামে ৩১২ রানে। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন জো রুট।
কেভিন পিটারসেন ও ম্যাট প্রায়রের সংগ্রহ যথাক্রমে ৫৩ ও ৬৯ রান। ১৯ রানের ব্যবধানে শেষ তিনটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য আগুনে বোলিং করতে পারেননি জনসন। উত্তাপ ছড়িয়েছেন পিটার সিডল ও রায়ান হ্যারিস। ৫৭ রানে চারটি উইকেট নেন মিডিয়াম পেসার সিডল।
ফাস্ট বোলার হ্যারিস ৫৪ রান খরচায় নেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন জনসন, নাথান লায়ন ও স্টিফেন স্মিথ। ম্যাচ সেরা হন প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার তছনছ করা জনসন। সূত্র: ক্রিকইনফো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।