অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় যে কোনো দিনই করা সম্ভব। তিনি মনে করেন এ ক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধা নেই। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপিল বিভাগ বলেছেন, মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত দড়িতে ঝুলিয়ে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। এই দণ্ড তো সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে দিয়েছেন।
এটা কার্যকর করার বিষয়টি এখন বাকি আছে। এটা কখন কীভাবে করা হবে, এটা সরকার নির্দেশ দিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে দেবে, জেল কর্তৃপক্ষ সেটা কার্যকর করবে। আমি মনে করি, যে কোন দিনই রায় কার্যকর করা সম্ভব। ’
সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে রিভিউ চলবে না এবং জেল কোডের কোন বিধান এখানে প্রয়োগ হবে না। কারাবিধি এখানে প্রযোজ্য হবে না।
এখানে আপিল বিভাগের রায়টি অবগত করানো হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষকে। এখন সরকার কারা কর্তৃপক্ষকে দণ্ডাদেশ কার্যকর করার জন্য নির্দেশ প্রদান করবেন। তখনই এটা কার্যকর হবে। যেকোন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যাক্তি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। তিনি যদি করেন ভালো কথা।
সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া যাবে। রাষ্ট্রপতির কাছে উনি কবে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তার জন্য তো রাষ্ট্র বসে থাকবে না।
মাহবুবে আলম বলেন, জেনেভা কনভেনশনে আছে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের এখানে যদি কেউ চায়, তাকে তো আমরা বিরত করতে পারি না। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করতে চায়, আমরা তো তাঁকে বিরত করতে পারি না।
এই প্রক্রিয়াটি কতদিনের মধ্যে হবে অপর প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, সেই প্রক্রিয়াটির অংশ হিসেবে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে (কাদের মোল্লা) জিজ্ঞেস করবেন তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না।
এখন কী যে কোন মুহূর্তে রায় কার্যকরের সুযোগ আছে?—এ প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখন ২০(২) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্র বা সরকার যখনই কারা কর্তৃপক্ষকে বলবেন, তখন কারা কর্তৃপক্ষ একটা দিন ধার্য করে সেটাকে কার্যকর করবে।
যে কারণে রিভিউ করা যাবে না, একই কারণে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়া যাবে না বলে অনেকে বলছেন—এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, স্পষ্ট কথা বলা আছে, সংবিধানের ৪৭(ক) ২ তে। এই সংবিধানে যা বলা হয়েছে, তা স্বত্ত্বেও যেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের ৩ দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয়, এই সংবিধানের অধীন কোনো প্রতিকারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আবেদন করার অধিকার সেই ব্যক্তির থাকবে না। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারবে না।
রাষ্ট্রপতি তো আর সুপ্রিম কোর্ট না। দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তি তিনি। কাজেই যারা বলছেন এ কথাগুলো তারা সংবিধানের ৪৭(ক) ২ পড়েননি। এবং রাষ্ট্রপতির যে ক্ষমতা সেটাও তারা ঠিকমত দেখেননি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।