সসকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।
আমরা আজ বড্ড অসহায়।
কিছু মানুষের কাছে আজ জিম্মি ও বন্দি। তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। সব কিছু ভেজালে ভরা। আর ঘুমিয়ে থেকো না। দেশের জনসাধারণ এখন বড় দুঃসময়ে দিন কাটাচ্ছে।
নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তিলে তিলে গড়া ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। আর প্রশাসন নামের কিছু সাজানো চরিত্রের দাসরা তা চেয়ে চেয়ে দেখছেন। হে বিচারপতি এই বাংলায় যদি প্রকৃত মানুষই না থাকে তুমি বিচার করবে কার? আজ মানবতার কান্না কি তোমার হৃদয়কে নাড়া দেয় না।
ঐ গার্মেট শ্রমিকদের কর্মস্থল জ্বলে পুরে ছাড়খার হওয়াকে তুমি কি ভাবে সহ্য করো? আরে ও তো গামেন্ট নয় বাংলাদেশের ভাগ্য পুরছে। হে বাংলার হিন্দু তোমরা এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছো না কেনো? দেখো, দেখো তোমার বাংলা মায়ের সিঁদুর বাংলার সাধারণ মানুষের রক্তে আরও টকটকে লাল হয়ে উঠছে।
সেই সিদুরের দাম কি তোমরা দিবে না? দেখ রাজনীতিকরা আজ নিজেরা নিজেদের গ্রেফতার করে প্রটেকশন নিচ্ছে। ভেঙ্গে ফেলো ঐ জেলের তালা, যে জেল সব সয়তানদের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে। সাধারণ চোর, ছিনতাই কারী, সন্ত্রাসী দের যারা সৃষ্টি করেছে তাদের জন্য বানানো ঘরেই তারা আশ্রয় যাচছে। তোমরা কেনো এই সহজ অভিনয় বুঝতে পারছো না। কেনো বুঝতে পারছো না ওরা তোমার রক্ত চোষা পয়সায় ঐ কারাগার বানিয়েছিলো।
তোমাদের নিরাপত্তা দেবার কথা বলে তারা আজ গণজোয়ারকে ভয় পেয়ে, তাদের ব্যাংক, ব্যালেন্স, বাড়ী, গাড়ী সহকারে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে। শেয়ার বাজারের কৃত্তিম ছক তৈরি করে তোমাদের আবারও দাস বানিয়ে রেখেছে। ভেঙ্গে ফেল এই অদৃশ্য হাতের শিকল। মাথা উচু করে দাঁড়াও। দেখো ক্ষমতার ঊষালগ্নে যে নেতারূপী সাবেক সেনাসাশক তার আপন ভাগ্নের রক্তের উপর পাড়া দিয়েছিলো তিনি আজ এদিক সেদিক দৌড়িয়ে মানুষের রাজনৈতিক বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে।
আর বলি হচ্ছে তোমার আমার স্বজন। স্বজন হারাবার জ্বালা কতোখানী তা যিনি স্বজন হারিয়েছেন শুধুমাত্র তিনিই বুঝবেন। প্রিয় মানুষকে হারানোর ব্যাথা অনেক। আজ লক্ষ তরুন তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় প্রেমিকাকে জলাঞ্জলী দিয়ে তার জীবনকে অভিষাপে নিয়ে গেছে শুধু মাত্র অর্থনীতির নাম করে ঐ রাজনীতিবিদদের লুটে পুটে ভাগ করে খাবার জন্য। আজ একটু স্থানের জন্য সাধারণ মানুষ কাদে আর রাজনীতিকরা মসনদে বসে সবকিছু নিয়ন্ত্রন করছে।
জেগে ওঠো বন্ধু। তোমাদের হৃদয়ের মাঝে তোমার যে সুন্দর সত্য নেতা ঘুমিয়ে আছে তাকে জাগ্রত করো। দেখবে হৃদয়ের সব সমাধান খুলে যাবে। নইলে আবার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেই সময়ের ম্যুল্য আর গরু রচনা পড়। সময়ের মুল্য, শৃঙ্খলা, জীবনের লক্ষ্য তোমাদের কেনো পড়ানো হয়েছিল? তোমার গায়ে দামি স্যুট পড়ানোর জন্য লেখাপড়া শিখানো হয় নি।
তোমার অধীকার বঞ্চিত শিক্ষক, মা, বাবাদের পয়সা যারা লুটেপুটে খায় তাদের শায়েস্তা করাবার জন্যই শিক্ষাকে কাজে লাগাও। আর বসে থেকো না বন্ধু। এমন মৃত্যু জরা ক্ষুধা দেখে হৃদয় যে আর তর সইছে না। খুলে দাও ওদের মুখোশ। মিডিয়াকে ওদের হাত থেকে মুক্তকরে নিয়ে এসো।
ও যে তোমাদেরই সম্পদ!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।