আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়ের স্মৃতিতে ম্যান্ডেলার শেষ সময়

সারা বিশ্বের মানুষের মনে স্থান করে নেয়া এই মানুষটির মৃত্যুর সময়টিতে তার পাশে ছিলেন স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনি সবাই। আর তাই বাবার এ সময়টিকে ‘চমৎকার’ শেষ সময় বলেই অভিহিত করেছেন মাকাজিউয়ে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “শেষ বিদায় জানানোর জন্য তার (ম্যান্ডেলার) কাছে ছিলেন স্ত্রী গ্রাসাসহ সন্তান ও নাতি-নাতনিরা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আমাদেরকে কাছে পেয়েছেন। আমরা সব সময়ই তার চারপাশে ছিলাম।

বৃহস্পতিবার সারাটা দিন একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা তার সঙ্গেই বসে ছিলাম। ”
মাকাজিউয়ে আরো বলেন, “আমি মনে করি, গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খুবই চমৎকার একটি সময় ছিল। কেননা, আমরা সবাই সেখানে ছিলাম”।
ম্যান্ডেলার প্রথম দাম্পত্য জীবনে চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র জীবিত মেয়ে মাকাজিউয়ে। গত কয়েকমাস ধরেই তিনি বাবার খোঁজ খবর রেখেছেন।

তার সঙ্গে নিয়মিত দেখাও করতেন।
বাবার শেষ সময়ের বর্ণনায় ম্যাকাজিউয়ে বলেন, “চিকিৎসকরা যখন আমাদেরকে বললেন, সেটা মনে হয় বৃহস্পতিবার সকালের দিকেই...তাদের আর কোনো কিছু করার নেই এবং তারা আমাকে এও বললেন যে, ‘মাকি যারা তাকে দেখতে চান এবং বিদায় জানাতে চান তাদের সবাইকে ডাকো’; সবার উপস্থিতিতে তখন সেই দিনটা খুব চমৎকারই ছিল। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনি চারদিকে ঘিরে থাকায় মনে হচ্ছিল বাবাকে যেন রাজার মতো সেনারা পাহারা দিয়ে রেখেছে”।
জীবদ্দশায় বাবার লড়াইটা কেবল রাজনৈতিক মুক্তির জন্য নয় বরং আধ্যাত্মিক মুক্তির জন্যও ছিল বলে মন্তব্য করেন মাকাজিউয়ে।
বাবা যে শিক্ষা দিতেন সে সম্পর্কে মাকাজিউয়ের উক্তি, “তিনি ক্ষমা করার সৎসাহসের কথা বলতেন।

এই ক্ষমা এক কঠিন জিনিস। আমি মনে করি, তিনি জানতেন, ক্ষমা করতে না পারলে আধ্যাত্মিক মুক্তি মিলবে না। আর তাই অন্যকে ক্ষমা করার সাহস থাকাটা আমরা তার জীবন থেকেই শিখেছি”।
“অন্যকে ঘৃণা করার মানসিকতা নিয়ে আমাদের কেউ পৃথিবীতে আসেনি- আমাদেরকে ঘৃণা করতে শেখানো হয়েছে। আর মানুষকে ঘৃণা করতে শেখানো গেলে, ভালোবাসতে, সাদরে বরণ করে নিতে এবং ক্ষমা করতেও শেখানো যায়”।


শোক, শ্রদ্ধা, প্রার্থনা আর প্রশংসার মধ্য দিয়ে এখনো ম্যান্ডেলাকে স্মরণ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার তাকে সমাহিত করার আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলবে আরো নানা আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ১শ’টিরও বেশি দেশের সাবেক ও বর্তমান নেতারা দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.