জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফারনান্দেজ তারানকোর পাঁচ দিনের ঢাকা সফরে দুই দলকে আলোচনার টেবিলে বসানোই বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, তারানকোর সফরের মাধ্যমে আলোচনার প্রক্রিয়াটা শুরু হলো। তবে সেটা সফলতার পর্যায়ে নিয়ে যেতে অনেক কাজ করতে হবে। তারানকোর ঢাকা সফর, দুই নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক, প্রধান দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু করাসহ সার্বিক বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া নিজের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন সাবেক এই কূটনীতিক।
হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রথমত তিনি (তারানকো) নিজেই বলেছেন, দুই দলকে কাছাকাছি এনে আলোচনার টেবিলে বসতে সাহায্য করেছেন।
এটাকে আমি ইতিবাচক দিক বলে মনে করি। সংলাপটা তো শুরু হলো। দ্বিতীয়ত, তারানকো বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে তিনি অনেক জায়গায় বার বার বলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এখানে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। হুমায়ুন কবীর বলেন, তারানকো যেটা শুরু করেছেন অর্থাৎ এই আলোচনা সংকট সমাধানের একটা প্রক্রিয়া।
এটিকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে হলে অনেক কাজ করতে হবে। এখানে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এককথায়, এটার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা সে সাহস দেখিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্নে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবেন।
হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে যদি সমঝোতা হয় তাহলে নির্বাচনের তারিখ পেছানো যাবে।
এটা কোনো কঠিন কাজ নয়। এখানে প্রধান দিকই হলো সমঝোতা। এ জন্য মুক্ত মন নিয়ে তাদের বসতে হবে। সংকট নিরসনে রাজনীতিকদের সদিচ্ছা থাকতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।