আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাণভিক্ষার সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর আইন বিষয়ক উপদেষ্টা শফিক আহমেদের কক্ষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রী এবং দুইজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে আড়াই ঘণ্টার রুদ্ধদার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
সর্বোচ্চ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন খারিজের পর সচিবালয়ে এই বৈঠক করেন তারা।
মাহবুবে আলম বলেন, “প্রথম থেকেই বলে আসছি রিভিউ চলে না। জেলকোডও এখানে অ্যাপ্লিকেবল নয়। তারা (কাদের মোল্লার আইনজীবী) আদালতে বিষয়টি তুলেছিলেন।

আদালত এ বিষয়ে কোনো অবজারভেশন দেয়নি। ”
“প্রাণভিক্ষার কথা অনেক আগে থেকেই বলা হয়েছে। (কাদের মোল্ল) কোনো রেসপন্স করেননি। এখন কোনো সুযোগ নেই। উনি (কাদের মোল্লা) চাইলে আলাদা কথা।


রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার কোনো দিনক্ষণ নির্ধারিত নেই বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্ন্ত রুদ্ধদার বৈঠক শেষে দপ্তর ছাড়ার সময় শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “নাথিং টু সে। ”
আর আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “কোনো কথা নেই। কোনো কথা হবে না। ”
পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর গত মঙ্গলবার কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল সরকার।

আইন প্রতিমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, রাতের মধ্যেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।
ওই রাতে কাদের মোল্লার আইনজীবীদের আবেদনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বুধবার সকাল পর্যন্ত স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি। পরে দুদিন শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজের আদেশ হয়।  
মঙ্গলবার বক্তব্য দিয়ে দলের মধ্যেই সমালোচনায় পড়া আইন প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার অন্যদেরও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলতে নিরুৎসাহিত করেন।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এবং দুইজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেলারেলকে শফিক আহমেদের কক্ষ থেকে বের হতে দেখা যায়।


একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
আপিল বিভাগ গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল গত রোববার কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। এরপর মঙ্গলবার দণ্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল কারা কর্তৃপক্ষ, যা পরে আদালতের আদেশে আটকে যায়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।