মেজর [অব.] রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম
জন্ম : ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩।
একাত্তরের রণাঙ্গনে ১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে আর্মি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন। পরে তিনি আর্টিলারি কোরে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে তিনি ডেপুটেশনে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের [ইপিআর] চট্টগ্রামস্থ হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে পরিস্থিতি অাঁচ করতে পেরে তিনি ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ শুরুর আগেই ইপিআর সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য 'বীরউত্তম' খেতাবে ভূষিত করা হয় তাকে। 'লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে' [এ টেল অব মিলিয়নস] নামের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাভিত্তিক মুুক্তিযুদ্ধের একটি প্রামাণ্য গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। এই বইয়েই তিনি তার একাত্তরের রণাঙ্গনের যুদ্ধ ও অন্যান্য স্মৃতিকথা লিপিবদ্ধ করেছেন। তার আরেকটি গ্রন্থ হচ্ছে 'মুক্তির সোপানতলে'।
পাঁচটি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত ১ নম্বর সেক্টরটির ভৌগোলিক অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ [মুহুরী নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত]। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ২৯ এপ্রিল তাকে সামরিক চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি ওয়াসা, হ্যান্ডলুম বোর্ড, বিআইডবি্লউটিসিসহ বিভিন্ন সংস্থায় চেয়ারম্যান পদে কর্মরত থাকেন। ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে গঠিত জাতীয় সংসদে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানেও তিনি সংসদ সদস্য এবং একটি সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।