আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিচ্ছে দিল্লি: কলকাতা টেলিগ্রাফ
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ভারত সমর্থন দিচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা টেলিগ্রাফ পত্রিকা। ১০ ডিসেম্বর পত্রিকাটিতে সুবীর ভৌমিকের লেখা ‘হাউ ইন্ডিয়া মাইট ফাইন্ড ইটস ওন ব্যালেন্স ইন এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি ওই প্রতিবেদনে এটাও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোট। সুবীর ভৌমিক তার প্রতিবেদনে এশিয়ার দেশগুলোতে ভারত কিভাবে তার সম্পর্কের পুনর্বিন্যাস করবে তার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চীনকে মোকাবেলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার ক্ষমতার ভারসাম্য যেভাবে পুনর্বিন্যাস করছে তাতে ভারত দৃশ্যত স্বস্তি পাচ্ছে না।
দিল্লিতে ২২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সম্মিলিত কমান্ডার্স সম্মেলনে তার অস্বস্তির কথাটা প্রকাশও করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাতৎপরতা নিয়েও তার উদ্বেগ প্রকাশিত হয়। সুবীর ভৌমিক জানান, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোতে ভারতের অস্বস্তির ব্যাপারটি অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথিতেও দেখা গেছে।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাতেও ভারত খুশি নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ভারতীয় ও মার্কিন কূটনীতিকরা ইতোমধ্যেই মিডিয়ার সামনে কিছু মাত্রায় তিক্ত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন।
দিল্লি আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্র, অন্তত বাংলাদেশে নিযুক্ত এর রাষ্ট্রদূত, স্পষ্টভাবেই বিএনপি-জামায়াত জোটকে তুলনামূলক বেশি পছন্দ করছে। সুবীর ভৌমিক বলেন, চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ায় ন্যাটোর সমতুল্য জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আর ভারত নিজের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চীন ছাড়াও জাপান, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ আসিয়ান দেশগুলোর সাথে তার ক্ষমতার ভারসাম্য পুনর্বিন্যাস করতে চাইছে। ভারত কোনোক্রমেই চীনের সাথে সক্সঘাত চাইছে না।
এই লক্ষ্যেই অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও চীনের সাথে ‘বর্ডার ডিফেন্স কো-অপরাশেন অ্যাগ্রিমেন্ট’ করেছে ভারত। আর এ কারণে ভারত বাংলাদেশ-চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য ভারত ও চীন ব্যাপকতর আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এনই
স্থানীয় সময় : ০৪১৫ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩
Click This Link
***********************
সেই ২০০৫ সালেই বিষয়টি টের পাই। যখন বুশ জুনিয়রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কন্ডালিসা রাইস ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলে "যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে নিয়েই উপমহাদেশে কাজ করতে চায়"।
ভাবখানা এমন যে ভারত ব্যাতীত সার্কের বাকী সব দেশের কোন অস্তিত্ব অথবা সার্বভৌমত্ব নেই। দিল্লী যা চায় সেটাই হবে। পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান, শ্রীলংকা ব্যাতীত সবাই দিল্লীর গোলাম। এই কারণেই ২০০৭ বিএনপি নির্বাচন করতে ব্যার্থ হলেও আলীগ ভারতের মদদে সফল হবেই বলে মনে হচ্ছে। তবে যদি লংকানদের মত ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন জোরদার করা যায় তাহলে হয়ত আমাদের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।