আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যবসায়ীর দেশপ্রেম

হাজার বছরের ধারাবাহিক আলোয় আলোকিত আমি, হাজার বছরের সেই হাজার আলোদাতার কাছে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ এ আলো ছড়িয়ে দিব।

দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতির সমাধানে সরকারী দল ও বিরোধীদলকে প্রভাবিত করতে দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো আজ রাজধানীতে সাদা পতাকা ধারণ করে সমাবেশ করেছে। ভাল। সুন্দর উদ্যোগ। প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

এবং আমার মত একজন আমজনতার কিছু প্রস্নঃ আমি আজ সাদা পতাকা দেখেছি সাদা শুভ্র কেশধারী দরবেশ বাবাকে। আচ্ছা উনিই তো সেই দরবেশ যিনি প্রধানমন্ত্রীর শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। উনিই তো সেই দরবেশ যিনি ফু দিয়ে শেয়ারবাযারকে হাওয়ায় মিলিয়ে দিলেন। উনিই তো সেই দরবেশ যিনি শেয়ারবাযারের হাজার হাজার শেয়ার হোল্ডারকে পথে বসিয়েছে। উনিই তো সেই দরবেশ যার জুলুমে কয়েকজন আত্মাহুতি দিয়েছে।

উনিই তো সেই দরবেশ যিনি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যে নিজের কোম্পানির সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকার ঋণ মন্ত্র দিয়ে শোধ করে দিলেন। তাকে যখন টিভির পর্দায় সাদা পতাকা হাতে শান্তিরদূত হিসেবে দেখে তখন কি ওইসব পুজিহারানো ব্যক্তিদের কাছে তামাশা ছাড়া আর কিছু মনে হয়? হ্যা, আমি আপনাকে আজ সমর্থন করছি। কিন্তু নির্ভেজাল সমর্থন করতে পারছি না। সরকারীদল ও বিরোধীদল অপরাজনীতির খেলায় মত্ত হয়ে মানুষ খুন করছে আর আপনিও তো কত মানুষের পেটে লাথি মেরেছেন নিজের রাক্ষুসি চাহিদা মেটাতে গিয়ে তার ইয়ত্তা নেই। সভার শেষের দিকে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর বর্তমান সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।

আচ্ছা আপনিও তো প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা। এখানে এসে বড় বড় লেকচার দিচ্ছেন আর তলেতলে তো ঠিকই আওয়ামীলীগকে টাকা দিচ্ছেন। উপর দিয়ে সাধু সেজে নিচ দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করছেন। বাহ! ভালতো, ভালনা? বিজিএমইএ এর বর্তমান সভাপতিকেও দেখলাম। হাসির কথা হচ্ছে কয়েকদিন আগেও বিরোধীদলীয় নেত্রীর পাশে আমি ওনাকে দেখেছিলাম।

দল তো ঠিকই করেন তাহলে এখানে এসে লেকচার দেন কেন? যে ব্যবসায়ীরা আজ শান্তির পতাকা উরাচ্ছেন তারাইতো পন্যের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে পন্যের দাম নাজেহাল অবস্থায় নিয়ে যায়। তখন কি জনসাধারণের কষ্ট হয় না? রানা প্লাজার মালিকতো আপনারাই নাকি? দু বেলা দু মুঠো ভাত আর শান্তিতে থাকার জন্য আমাদের দেশের অর্থনীতির ধারক পোশাক শ্রমিকরা আপনাদের প্রতি কত আন্দোলন করে যাচ্ছে কই তখন তো আপনাদের মানবপ্রেম দেখি না। বরং তাদের উপর তখন পুলিশ দিয়ে হামলা করেন। আট হাজার টাকা মজুরী কি খুব বেশি যেখানে তাদের তৈরি একটা প্যান্টের মূল্য পাঁচ হাজার টাকার উপরে। আর সরকারীদল বিরোধীদল নাশকতা সৃষ্টির টাকা কোথায় পায়? সেটার যোগানদাতাও তো আপনারা।

আসলে মূল কথা হচ্ছে এখন নিজেদের পকেটে টাকার সাপ্লাই কমে যাচ্ছে তো তাই আন্দোলনে নেমেছে। এখানে দেশপ্রেম বলতে কিছু নাই। আবার পরবর্তীতে যেন কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য যে যার মত তোলে তোলে রাজনীতিবিদদের সাথে যোগাযোগও রাখছেন। বুকে হাত দিয়ে সৎভাবে নিজেকে প্রশ্ন করুণ আপনি দেশপ্রেমিক কিনা। নিজে নিজের জায়গা থেকে ঠিক হন, সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.