ইশফাক আবীর। যন্ত্রকৌশল চতুর্থ বর্ষ। অবস্থান ফজলুল হক হল। সংস্কার চলা লালন শাহ হল এ আধিপত্য বিস্তারকারী একজন ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতার অপব্যবহারকারি নেতা। একজন তুখোড় ২ নম্বর পথের ব্যবসায়ী।
তার ব্যবসার নাম নিয়োগ বাণিজ্য। কাঁচামাল বিভিন্ন পদে চাকুরী করতে আগ্রহী দুর্নীতিবাজ, ধান্দাবাজ, সাধারন যোগ্য কিংবা অযোগ্য মানুষ। ইশফাক আবীর স্বেচ্ছায় অংশ নেয়া এই কাঁচামালগুলোকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময় নির্দিষ্ট পদ পাইয়ে দিয়ে থাকেন। উনাকে সরকারি মেডিকেলের দালালদের সাথেও তুলনা করা যেতে পারে। উনারা টাকার বিনিময় বিছানার ব্যবস্থা করে দেন।
ইনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত পবিত্র জায়গায় অর্থের বিনিময় বিভিন্ন পদে মানুষকে চাকরি পাইয়ে দেন। উনার এই বাণিজ্যিক পরীক্ষায় পাস না করে কারো পক্ষে তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি তে নিয়োগ পাওয়া প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। কুয়েটের বিভিন্ন পদে নিয়োগকে তিনি নিলামের মাধ্যমে অর্থের মাধ্যমে যোগ্য অর্থদানকারীর হাতে তুলে দিতে সাহায্য করেন। এক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থী আদৌ চাকরীর যোগ্যতা রাখে কিনা তা মতেই মুখ্য নয়। এভাবেই একজন সুদক্ষ দালাল ও টেন্ডারবাজের মতো করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অজস্র টাকা দিয়ে তিনি আমোদ ফুর্তি করেন এবং তার বিশ্বস্ত অনুচর রহুল ও চামচা তানিনের আনন্দযজ্ঞের ব্যবস্থা করে দেন।
এছাড়া তার একদল পালিত নেড়ি কুত্তার ছানা যারা কিনা তার ইশারায় দাঙ্গা ফ্যাসাদ থেকে শুরু করে সব ধরনের অনৈতিক কাজে পারদর্শী। তাদের লালন পালনের ব্যবস্থাও তিনি নিয়োগ বাণিজ্যর মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ থেকে করে থাকেন। লালন শাহ হলের এই নালায়েক নেতা হল এর বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ অর্থের অংশ সবসময় নিজের আব্বুর মনে করে নিজের কাজে ব্যবহার করেন।
এই মহান নেতার ক্যাম্পাসে নারী প্রীতির কথাও কারো অজানা নয়। ক্লাসমেট থেকে শুরু করে জুনিয়র মেয়েদের পিছনে গন্ধ শোঁকা কুকুর শাবকের মতো ঘুরতে দেখা যাই প্রায়।
ফলাফল অবশ্য একদলা বিষ্ঠা। কেননা ওনার ঢিলেঢালা, ব্যক্তিত্বহীন চারিত্রিক গুনাবলি কারো অজানা নয়। আর উনি ভুলে জান যে এখানে ভদ্র ঘরের সুশীল, শিক্ষিত মেয়েরা আসে। উনার মতো প্রমোদ বিলাসী কেও নন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।