আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতের মিষ্টি রোদ কতটুকু মিষ্টি

শীতের সকালে গায়ে একটু মিষ্টি রোদ মেখে ওম পেতে চান না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু সকাল কেন, শীতের সময় দুপুর কিংবা বিকেলেও অনেকে গায়ে রোদ লাগাতে পছন্দ করেন। শীতে গায়ে রোদ লাগাতে আরাম লাগে। তাই শীতে কেউ রোদ এড়িয়ে চলতে চান না। ফলে রোদের মধ্যে অনেকেই এ সময়ে রিকশার হুড না তুলে পথ চলেন, পথচারীদের মধ্যে সূর্যের উত্তাপ নিয়ে তেমন কোনো বিরক্তি বা অনীহা লক্ষ করা যায় না।

শীতে এসব দৃশ্যের পেছনে কারণ একটাই, শীতের মিষ্টি রোদ থেকে উষ্ণতা আহরণের আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু শীতের এই মিষ্টি রোদ কি আসলেই মিষ্টি? এই প্রশ্নের উত্তর শুনে সৌন্দর্য সচেতন সবাই অবশ্যই কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়বেন। কারণ শীতের এই মিষ্টি রোদ আসলে মিষ্টি নয়। বরং কিছুটা ক্ষতিকরই বলা যায়। এমনিতেই রোদের অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রাভায়োলেট-রে ত্বকের অন্যতম শত্রু।

বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতের রোদে ক্ষতিকর প্রভাব বেশি থাকে। যদিও শীতে রোদের তীব্রতা কম থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট-রে বা অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণ বেশি থাকে। শীতের সময় বাতাসের আদ্রতা কম থাকার কারণেই আলট্রাভায়োলেট রশ্মি তুলনামূলক কম জলীয়বাষ্পের বাধা অতিক্রম করে সহজেই ত্বকের সংস্পর্শে পৌঁছে যেতে পারে। বছরের অন্যান্য সময়ে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। জলীয়বাষ্পের বাড়তি বাধা অতিক্রম করতে গিয়ে আলট্রাভায়োলেট রশ্মির তীব্রতার মাত্রা কিছুটা কমে যায়।

জলীয়বাষ্প কম থাকার কারণে শীতে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি অনেকটা সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে আসে। রোদের প্রখরতা কম অনুভব করা

যায় বলে শীতের রোদে সবাই একটু বেশি সময়

কাটায়। ফলে শীতের রোদে ত্বকের ক্ষতিও বেশি। এ কারণে লক্ষ করলে দেখা যায়, প্রায় সবারই শীতে ত্বকের রং কিছুটা ডার্ক বা গাঢ় হয়ে যায়। অন্যদিকে গরমকালে রোদের প্রখরতা বেশি থাকায় লোকজন রোদে কম যায় এবং বাড়তি জলীয়বাষ্পের জন্য আলট্রাভায়োলেট রশ্মির তীব্রতার মাত্রাও

কম থাকে।

ফলে গরমকালে রোদের কারণে ত্বকের ক্ষতিও শীতের চেয়ে কম হয়। আলট্রাভায়োলেট রশ্মি

ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এই রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে চলাই মঙ্গল। ত্বকের সজীবতা ও বর্ণ অটুট রাখতে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। শীতের

রোদ আরামের, তবে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

শীতের রোদ সৌন্দর্যহানি করে। সুতরাং শীতের সময় সৌন্দর্য সচেতনরা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১৬৭৮০৩০৩৯৪

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।