অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই বর্তমান গ্লোবাল বিশ্বে'র সমতা ভেঙ্গে কিভাবে বড়-ছোট বিভাজন তৈরী'র উদ্দেশ্যে বিশ্বে কিভাবে মানসিক ডমিনেশন চলে তার একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা বলি।
আমরা সবাই ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড (ধনী / শক্তিশালী) - সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড (স্বচ্ছল / মোটামুটি) - থার্ড ওয়ার্ল্ড (দরিদ্র / দূর্বল) ক্ল্যাসিফিকেশনগুলো জানি। ( যা সম্পূর্ণ ভুল)
এই বিভাজনটা আসলে কোল্ড ওয়ারের সময়কালীন একাডেমিয়াতে ব্যাবহৃত হয়।
ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড বলতে বুঝানো হতো ন্যাটো সদস্য, মার্কিন - পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো'কে। যাদের রাজনীতি মূলত গণতান্ত্রিক ।
সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড বলা হতো, সোভিয়েত ইউনিয়ন- কমিউনিস্ট ব্লকের দেশগুলো'কে। যারা ছিল সমাজতান্ত্রিক।
কোল্ড ওয়ারে'র প্রধান এই দুই গ্রুপের বাইরের অন্য সব দেশই ছিল থার্ড ওয়ার্ল্ড। যারা না ন্যাটো সংশ্লিষ্ট না কমিউনিস্ট। দারিদ্রতার সাথে এই থার্ড ওয়ার্ল্ড ক্যাটাগরীর কোন রিলেশন ছিল না।
অস্ট্রিয়-সুইজারল্যান্ড- গালফের ধনী দেশগুলোও ছিল থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি।
"ছবিটা উইকি থেকে নেয়া, কোল্ড ওয়ারে'র সময় বিশ্ব বিভাজনে'র চিত্র।
ছবি'র 'নীল রঙ্গা' দেশগুলো ফার্স্টওয়ার্ল্ড, 'লাল গুলো' সেকেন্ড, আর 'সবুজগুলো' থার্ড ওয়ার্ল্ড। যা কিনা আমাদের পাসপোর্টের রঙ্গেও প্রতিফলিত হতো। "
----------------
কোল্ড ওয়ার শেষ হবার পর বিগত কয়েক দশক ধরে এই টার্মিনোলজিগুলো ইনভ্যালিড হয়ে গেলেও মানুষ এখনো এগুলো ধরে রাখতে আগ্রহী।
তাই অর্থনীতি'র ক্লাসিফিকেশন অনুযায়ী, পশ্চিমা পুঁজিবাদি ও ধনী দেশগুলো'কে "কোর কান্ট্রিজ" না বলে বলে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড, যারা পশ্চিমাদের পুঁজিবাদের সহায়ক, যেমন গালফ দেশগুলো বা সাউথ আফ্রিকা- কোরিয়া'কে "সেমি পেরিফেরি" না বলে, বলে সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড। আর দরিদ্র ও পুঁজিবাদীদের হাতে শোষিত দেশগুলো'কে "পেরিফেরি" না ডেকে বলে, থার্ড ওয়ার্ল্ড!
কারন, ফার্স্ট- সেকেন্ড - থার্ড ওয়াল্ড ডেফিনিশনের ভেতরই এক ধরনের বড়-ছোট ভেদাভেদ, প্রতিযোগীতার আবহাওয়া তৈরী হয়। কিন্তু ইকোনমি'র কোর-সেমি পেরিফেরি- পেরিফেরি বললে তখন পরিষ্কার হয়ে যায় কে শোষন করছে আর কে শোষিত হচ্ছে!
সুতরাং, ডমিনেটিভ মানসিকতার নগ্ন সত্যে'র উপর বিভাজনের সুগার কোটিং চালিয়ে দিয়ে, শোষিত ও শোষকের আদিরূপটা সহজের ঢেকে দেয়া হলো! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।