বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন প্রার্থীর বিজয়ের ঘটনাকে একটি হাস্যকর ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি আরও বলেন, সরকার যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করতে চাচ্ছে তাতে নির্বাচকমণ্ডলী অর্থাৎ ভোটাররা নির্বাচন থেকে নির্বাসিত হয়ে যাচ্ছেন। এতে প্রমাণিত হচ্ছে নির্বাচনে যাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব তাদের কোনো মূল্যই নেই। এতে জনগণের মতামত, আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলনই লক্ষ করা যায় না। মনে হয় তাদের আর কোনো প্রয়োজনই নেই।
এটা একটা হাস্যকর ঘটনা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, চলমান সংকট সমাধানের জন্য অনতিবিলম্বে ঘোষিত তফসিল স্থগিত করে আলোচনায় বসতে হবে। এ আহ্বান শুধু আমার নয়. এটা জনগণের অনুরোধ এবং দাবি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে সমস্যা সমাধানে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত।
যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এটা দেশের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। নির্বাচনে কারচুপির সন্দেহ, সংশয় থাকে। সেটাই শুধু নয়, এখন যেভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কারচুপিরও আর প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া আলোচনায় বসারও কোনো লক্ষণ নেই। একে অপরকে খোঁচা মেরে কথা বলার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারায় দেশ এগিয়ে নিতে হবে।
আর এ জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠান গ্রহণযোগ্য সমাধান করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। এখন আর দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে আলোচনা নয়, ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত আওয়ামী লীগের দুই নেতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তির কথা হতে পারে না। নির্বাচন তো আর ছেলেখেলা নয়, যে যখন ইচ্ছা তখন করলাম। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে করলাম। তাহলে তো আর বিরোধী দল বা জনগণের কোনো প্রয়োজন নেই।
এতে জনগণের মতামত উপেক্ষিত হয়। তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হলে আইনের শাসনের প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে সরকার কি বলতে চায় তা অস্পষ্ট। এ জন্য পরিষ্কারভাবে জনগণের কাছে বলা উচিত সরকার কী করতে চায়। আর তার সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা আছে কিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।