ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। গত ৩ মাসে চাঞ্চল্যকর ৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। বেড়েছে আত্দহত্যার প্রবণতাও। গত ৩ মাসে ৫টি আত্দহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মাদকে সয়লাব এ উপজেলায় জুয়াড়িদের আনাগোনাও বেড়েছে। সর্বনাশী ওয়ানটেন জুয়ার বোর্ডের কারণে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সূত্র জানায়, ৮ অক্টোবর খুন হন উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে এরশাদ মিয়া (২২)। ১৪ অক্টোবর খুন হন উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কুর্শীপাড়া গ্রামের আমেনা খাতুন (৭০)। ৩০ অক্টোবর খুন হন রাজীবপুর ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল হেলিম (৪৫)। ৪ নভেম্বর বালিশিতা গ্রামের নাসির উদ্দিন ভুইয়া রাজু (২০) নামের ছাত্রদল কর্মীকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। ৭ ডিসেম্বর সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামের নিলুফা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দায়ে তার স্বামী শ্বাসরুদ্ধে হত্যা করে।
১১ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হন উপজেলার টংটংগিয়া গ্রামের কৃষক আবু জাফর (৫৫) ও সর্বশেষ ১২ ডিসেম্বর উচাখিলা ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার বিলপাড় থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় নারীর (৩৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে, পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে ঈশ্বরগঞ্জে জুয়া ও মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে। উপজেলার সোহাগী ও আঠারবাড়ি ইউনিয়ন পরিচিতি পেয়েছে 'মাদকের হাট' হিসেবে। বিশেষ করে উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে জুয়াড়িদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় পুলিশ 'না দেখার ভান' করায় মাঝে মধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযান চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। ৩০ অক্টোবর ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ আঠারবাড়ীর এক জুয়ার আসর থেকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক সভাপতিসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে।
ঈশ্বরগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে দাবি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, 'গত ৩ মাসে ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। বাকিগুলো আত্দহত্যা। প্রতিটি খুনের ঘটনায় আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।