আসছে নতুন প্রজন্ম , আসবে নতুন দিন !
ছোট বেলায় ইলেক্ট্রিক বিষয়ের প্রতি ছিলো আমার প্রচন্ড আগ্রহ। তখন আমার বয়স ৮/৯ । এত মধ্যেই আমি শিখে ফেলেছি কিভাবে একটি হোল্ডার ও একটি টু-পিন প্লাক দিয়ে লাইট জ্বালানো যা। কিন্তু এই বয়সে তো আমার কারেন্ট ধরা মানা।
আমাদের টিভির এন্টেনার তার, তিন-চার বছর রোদ বৃষ্টিতে একেবারে ঝুলি ঝুলি হয়ে গেছে।
লাগানো হলো নতুন তার। পুরাতন তার টিকে আমি সযতনে রেখে দিলাম। তারপর মিল করলাম একটি পুরাতন হোল্ডার ও একটি টু-পিন। ( আমাদের বাড়ি বেশির ভাগ ইলেক্ট্রিক কাজ করতো আমার ছোট কাকা। কাকা যখনই ইলেক্ট্রিকের কাজ করতো আমি তার এসিসটেন্ট হিসাবে তার সাথে সাথে থাকতাম।
তাই যত পুরাতন ইলেক্ট্রিক যন্ত্রাংশ আমার কাছে জমা হতো)
পুরাতন এন্টেনার তার টি আট দশটা জয়েন্ট দিয়ে হোল্ডার ও টু-পিনের সাথে কানেকশন দিলাম। তারের জয়েন্টের স্থানে ইনসোলেশন ট্যাপ না থাকার কারনে ইনসুলেট করতে পারলাম না। মনে করলাম সাবধানে শুধু পিনে মাথায় ধরে কানেক্ট করবো, সমস্যা হবে না।
এখন শুধু সুযোগ খুঁজতে ছিলাম। একদিন বাসার সবাই পাশের বাড়িতে বেড়াতে যায়।
ঘরে শুধু বুলি খালা, পেয়েগেলাম সুযোগ। কারেন্টের প্লাগটি ছিলো বাচ্চাদের হাতের নাগালের বাহিরে, একটু উচুতে। প্রথমে মই দিয়ে বাহিরের লাইট টা খুলে এনে আমার সার্কিটের হোল্ডারের সাথে লাগালাম। তার পর সিন্ধুকের উপরে উঠে সাবধানে টু-পিন টাকে লাগালাম এসি কারেন্টের প্লাগের সাথে।
কিন্তু কপাল খারাপ ।
আমার সঞ্চালন লাইনের আট দশটা জয়েন্টের কোথায় যেনো শর্ট সার্কিট ছিলো। ফাত করে একটি শব্দ হয়ে একটি স্পার্ক করলো। খালা বিছানায় শোয়ে ছিলেন শব্দ শোনো তিনি তাকিয়ে দেখেন আমি কারেন্টের প্লাগের কাছে। বললেন তুই কারেন্ট ধরেছিস! তোর মা আসুক......
আমি এমনিতেই ভয় পেয়েছিলাম, তার উপর এক্সপেরিয়েন্সটা সাকসেস হলে না হয় মাকে বুঝাতে পারতাম "তোমার ছেলে বড় হয়ে গেছে, তাকে কারেন্ট ধরতে দেওয়া উচিত" এখনতো আমাকে আর কারেন্টের কাছেই আসতে দেবে না
তাড়াতাড়ি আমার যন্ত্রপাতি সব সরিয়ে সবকিছু গুছিয়ে রাখলাম। মা'র কাছে বিচার দেবার পর বললাম "খালা না বুঝে উল্টা পাল্টা বলছে, আমি শুধু লাইটের সুইচ দিতে গিয়েছিলাম"
(আল্লাহর রহমতে সেদিন কোনো বিপদ হয় নাই।
কারন আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম খালি পায়ে লোহার সিন্ধুকের উপরে)
জীবন কথার বকি লিখাগুলো এই বিভাগে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।