সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা ও সংঘর্ষে চার আওয়ামী লীগকর্মীসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সোমবার সকালে সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে ওই ইউনিয়নের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য ও সহিংসতা প্রতিহত করা হবে।
জামায়াত-শিবির এলাকায় কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা বা চক্রান্ত করলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করার অঙ্গীকার করে তারা আরো বলেন, এ ঐক্য অটুট থাকলে তারা (জামায়াত-শিবির) পিছু হটতে বাধ্য।
টুপামারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম শাহের সভাপতিত্বে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকছেদুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক আবুল কাশেম শাহ, আওয়ামী লীগ নেতা ছমির উদ্দিন সরকার।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মজনু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুদ্দোহা শাহ, সাবেক সভাপতি মছিরত আলী শাহ ফকির ও সদর উপজেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টু প্রমুখ।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির পর শুক্রবার দেশের অন্যান্য স্থানের মতো নীলফামারী সদরের রামগঞ্জ বাজারেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় দলটির কর্মীরা।
পরদিন (১৪ ডিসেম্বর) আসাদুজ্জামান নূর ওই এলাকা পরিদর্শনে গেলে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা তার গাড়ি বহরে হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে নিহত হন টুপামারী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা লেবু মিয়া, ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, তার ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী মুরাদ হোসেন ও পথচারী আবু বক্কর ছিদ্দিক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।