আর মাত্র ১২ দিন পর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও চট্টগ্রামে প্রার্থীদের গণসংযোগ-প্রচারণা তেমন চোখে পড়েনি। নির্বাচনী প্রচারণায় নেই প্রার্থীরা। ভোটারদের কাছে প্রার্থীরা ভোট চাইতে যাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ৭টিতেই একক প্রার্থী থাকায় এসব আসনে ভোট গ্রহণ হবে না। বাকি ৯টিতে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও সেগুলোয় বেশির ভাগ প্রার্থীই প্রচার-প্রচারণা শুরু করেননি।
নেই কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার। অনুপস্থিত চায়ের দোকানের আড্ডার সেই নির্বাচনী আমেজ। অথচ এসব আসনে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এলাকাবাসী জানায়, ৯টি আসনের ২৫ জন প্রার্থীর বেশির ভাগই ডামি প্রার্থী হিসেবে পরিচিত, যার কারণে হেভিওয়েট প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে আগে থেকেই নিশ্চিত। তাই প্রচারণা-গণসংযোগের প্রতি তাদের তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
এদের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালি) আসনে মহাজোট প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে গণসংযোগে দেখা গেলেও অন্যদের হদিস নেই। তবে জামায়াতের দুর্গ হিসেবে পরিচিত সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে আবু রেজা নদভী নির্বাচন করলেও মাঠে নেই তিনি। চট্টগ্রাম-৯ আসনের (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, আমানত শাহর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি। জয়ের ব্যাপারে সাধারণ মানুষই বিবেচনা করবে। সীতাকুণ্ড আসন থেকে নির্বাচন করছেন জাসদের আ ফ ম মফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, কিছু এলাকায় এখনো পোস্টার পেঁৗছেনি। কয়েক দিনের মধ্যেই সব ইউনিয়নে চলে যাবে। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিদারুল আলম সীমিতভাবে কর্মিসভা করলেও অধিকাংশ এলাকায় এখনো যাননি। অন্যদের প্রচার-প্রচারণায় দেখা মেলেনি। আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ৩০ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করবেন বলে দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন।
এলাকায় কারও পোস্টার ও ব্যানার নেই। চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৯ আসনের ২৫ প্রার্থীর কয়েকজন হলেন চট্টগ্রাম-২ এ তরীকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (নৌকা), স্বতন্ত্র ড. মাহমুদ হাছান (আনারস) ও নাজিম উদ্দিন (মোরগ)। চট্টগ্রাম-৩ এ জাসদের নুরুল আখতার (মশাল) ও জাতীয় পর্টির এম এ ছালাম (লাঙ্গল)। চট্টগ্রাম-৪ এ দিদারুল আলম (নৌকা), জাসদের আ ফ ম মফিজুর রহমান (মশাল), ওয়ার্কার্স পার্টির দিদারুল আলম চৌধুরী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির (জেপি) হায়দার আলী চৌধুরী (বাইসাইকেল)। চট্টগ্রাম-৯ এ জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু (লাঙ্গল), বিএনএফের আরিফ মঈনুদ্দিন (টেলিভিশন), ওয়ার্কার্স পার্টির আবু হানিফ (হাতুড়ি) ও ন্যাপের আলী আহমদ নাজির (কুঁড়েঘর), চট্টগ্রাম-১১ এম এ লতিফ (নৌকা), জাতীয় পার্টির কামাল উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল) ও জাসদের জসিম উদ্দিন (মশাল)।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া)-এ আওয়ামী লীগের শামসুল হক চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (লাঙ্গল)। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা)-এ আওয়ামী লীগের সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির তপন চক্রবর্তী (লাঙ্গল) ও বিএনএফের নারায়ণ রক্ষিত (টেলিভিশন)। চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক)-এ আওয়ামী লীগের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী (নৌকা), বিএনএফের জয়নাল আবেদীন কাদেরী (টেলিভিশন)। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)-এ আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির (জেপি) হায়দার আলী চৌধুরী (বাইসাইকেল)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।