আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বিসিবি

রাজনৈতিক অচলাবস্থায় দেশ আজ দ্বিধাবিভক্ত। এক পক্ষ চাইছে দেশে নির্বাচন। আরেক পক্ষের অবস্থান তার বিপরীত। সরকার ও বিরোধী দলের রাজনীতির জটিল মারপ্যাঁচে জনজীবন পুরোপুরি স্থবির। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত জাতি।

এক পক্ষের মতে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সমাধান হয়ে যাবে সব সমস্যার। আরেক পক্ষের মতো, দিন যত সামনে এগোবে, সমস্যা আরও কঠিন হবে। দেশের ঘোরতর এই সমস্যায় শঙ্কিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। তারা শঙ্কিত আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তার উপর ভারতীয় মিডিয়ায় লেখা হচ্ছে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তান অংশ নিবে না।

যদিও পাকিস্তান এখনো কিছু বলেনি। এছাড়া গতকাল ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দুটি ভেন্যুর নাম উল্লেখ করে টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এসব বিষয়ে এখনই কিছু বলছে না। শুধু জানিয়েছে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার স্বীকার যাতে না হয় ক্রিকেট। এজন্য সরকার ও বিরোধী দলকে আজকালের মধ্যেই চিঠি দিয়ে যোগাযোগ করবে বিসিবি।

ভারতীয় মিডিয়ার আগাম সংবাদ পরিবেশনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিসিবি।

আগামী ২৪ জানুয়ারি দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে ঢাকায় পা রাখবে শ্রীলঙ্কা। নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড কিছুই বলেনি। শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জানিয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত এশিয়া কাপ।

দিন কয় আগে ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য পাকিস্তান নাও খেলতে পারে এশিয়া কাপে। এমনকি টি-২০ বিশ্বকাপেও। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এ প্রসঙ্গে কোনো কিছুই জানায়নি বিসিবিকে। অবশ্য আগামী ৪ জুন এসিসির জরুরি সভা রয়েছে। সেখানে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে।

তবে যতটুকু জানা গেছে, ওই সভায় আফগানিস্তানকে খেলানোর প্রস্তাব থাকছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির খেলার বিষয়টিও চূড়ান্ত হবে। এশিয়া কাপের বিষয় নিয়ে কোনো কিছু বলেননি এসিসির কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুল হক। এশিয়া কাপ নিয়ে বিসিবির ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামুদ্দিন সুজন বলেন, '৪ জানুয়ারি এসিসির গুরুত্বপূর্ণ সভা রয়েছে। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে আমরা প্রস্তুত আসর আয়োজনে।

নিরাপত্তাও দেওয়া হবে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ' এশিয়া কাপের পরই ১৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত টি-২০ বিশ্বকাপ। আইসিসির সবচেয়ে বড় ইভেন্ট নিয়ে বিসিবির সিইও বলেন, 'আমরা টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনেও প্রস্তুত। আমাদের ভেন্যু প্রস্তুত। নিরাপত্তাও দেওয়া হবে সর্বোচ্চ।

তবে এটাও মনে রাখতে হবে, এটা আইসিসির ইভেন্ট। তারা যদি মনে করে নিরাপত্তাহীনতার কথা, তাহলে তারা ভেন্যু পরিবর্তন করতে পারে। অবশ্য আমরা প্রায় দিনই তাদের কাছে নিরাপত্তাবিষয়ক রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। তারা নিরাপত্তা নিয়ে এখনো কিছু বলেনি। ' আইসিসির একটি ক্লজ আছে, যদি নিরাপত্তাহীনতার কথা ভাবে আইসিসি, তাহলে ২১ দিন অগে ভেন্যু সরিয়ে নিতে পারে।

২০১১ সালের বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তান থেকে কিছু খেলা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর আগে পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

দেশ যেমন হাঁটছে আগুনের উপর দিয়ে। তেমনি বাংলাদেশের ক্রিকেটও হাঁটছে তার ছায়ায়। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীরা এমন চাইছেন না।

তারা চাইছেন না রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হউক ক্রিকেট।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.