একটি প্রতিবেদন এর অংশ বিশেষ তুলে ধরা হল
২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় শহীদ হয় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ নিহত হয় ৭৪ জন। এরই মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের দায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনার সাথে জড়িত দের বিচার করা হয়েছে প্রচলিত আইনে।
বিডিআর বিদ্রোহ কিভাবে হয়েছিল, কি কারনে হয়েছিল তা ফাঁস করে দিল উইকিলিক্স।
সংক্ষেপে নিচে দেওয়া হল,
সেনা হত্যা নিয়ে সেনাবাহিনীর তদন্ত রিপোর্ট এ উঠে এসেছিল মোটামুটি সব কিছু। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাতিল করে দিয়েছেন তদন্ত রিপোর্টটি।
সেনা বাহিনীর প্রতেকটি সৈনিক ও অফিসারেরা জানে কোন কোন পরিকল্পনায় কারা পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে।
RAW ভারতের গয়েন্দা সংস্থা R&AW এর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় পিলখানা হত্যা কাণ্ড ঘটে। এর মূল লক্ষ্য ছিল পাদুয়া ও রৌমারীর ঘটনার বদলা নেয়া এবং বিডিআর বাহিনি ধ্বংস করা।
২০০১ সালে এপ্রিল মাসে কুড়িগ্রামের রৌমারিতে বিডিআর-বিসিফ যুদ্ধে ১৫০ জন বিসিফ নিহত হয় এর আগে ১৫ জন।
ঐ ঘটনার পরে ভারতের ডিফেন্স মিনিস্টার জসবন্ত সিং উত্তপ্ত লোক সভায় ঘোষণা দেন এ ঘটনার বদলা নেয়া হবে।
লক্ষ্য করুন ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় যে শর্তে ভারত সামরিক সহয়তা দেন তার মধ্যে অন্য তম ছিল "বাংলাদেশের কোন বর্ডার গার্ড থাকিবে নয়া। "
কিন্তু স্বাধীনতার পরে নানা কারনে পাকিস্তান রাফেলস বাংলাদেশ রাইফেলস এ রূপান্তরিত হয়। বিডিআর ছিল আধাসামরিক বাহিনি যার মূল কমান্ড ও ট্রেনিং ছিল সেনাবাহিনীর মত। অন্য দিকে ভারতের বিসিফ ছিল সিভিল বাহিনি। যাদের ট্রেনিং ও জনবল ছিল সব ই নিম্ন মানের।
পাদুয়া-রৌমারীর ঘটনার বদলা নেবার জন্য বিডিআর ধ্বংসের পরিকল্পনা করে ভারত। এ লক্ষে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রয়ারি সময়টাকে বেছে নেওয়া হয়। যখন নিবাচন পরবর্তী হাসিনা সরকারের নতুন সময়। অনেকেই মনে করেন ভারতীও পরিকল্পনায় নির্বাচন ছাড়া অপ্রত্যাশিত ভাবে ক্ষমতায় বসানোর নানা শর্তে মাঝে এটা একটা গোপন শর্ত থাকতে পারে। এ হত্যা মিশনে অংশ নেয় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার বাছাই করা ১৫ শুটার।
পরিকল্পনা ব্যথ হলে বা আর্মি পদক্ষেপে হাসিনার জীবন বিপন্ন হলে ,তাকে নিরাপদে তুলে নিয়ে যাবার জন্য ৩০ হাজার সৈন্য সহ অনন্য বাহিনি ও যুদ্ধ বিমান প্রস্তুত রেখেছিল আসামের যোহরহাট
বিমান বন্দরে।
বিস্তারিত দেখতে এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।