অদেখাকে দেখার ইচ্ছা,অজানাকে জানার ইচ্ছা। অনেকদিন ধরে কোন কিছু নিয়ে টিউন করা হয়না। আসলে খুব ভালো কিছু দিতে না পারলে আমার টিউন করতে ইচ্ছা হয় না। কিছুদিন ধরে ভাবছি নতুন ১টা টিউন করবো। আমার আজকের টিউন মুলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন রিলেটেড।
যারা নতুন সাইট বা ব্লগ খুলেছেন তাদের কাজে লাগবে আবার যারা অনেক আগে থেকে খুলে বসে আছেন কিন্তু ভালো ভিজিটর আনতে পারছেন না তাদেরও অনেক কাজে দিবে। প্রথমেই কিছু কথা বলি, আপনি কেন গুগল থেকে ভালো ভিজিটর পাচ্ছেন না? আপনিও হয়ত এই কথাটাই সবসময় ভাবেন। এর অনেক কারন থাকতে পারেঃ
১। আপনার সাইট নতুন এবং আপনি হয়ত খুব “HARD COMPETITIVE” কি ওয়ার্ড ব্যাবহার করছেন এই কারনে আপনার সাইট ভালো অবস্থানে যেতে পারছেনা। যারা গুগল কি ওয়ার্ড টুল ইউজ করেন তাদের বলছি।
গুগল কোন কি ওয়ার্ড কে “LOW COMPETITIVE” দেখানোর মানে এই না যে এই কি ওয়ার্ড আসলেই “LOW COMPETITIVE”। আপনার উচিত হবে আরও অনেক কিছু বিশ্লেষণ করা। যেমনঃ আপনার কি ওয়ার্ড টোটাল কয়টা সাইট বা ব্লগ তার টাইটেলে ব্যাবহার করছে। ঠিক কয়টা এঙ্কর টেক্সটে ব্যবহার করা হয়েছে, কতগুল ইউআরএল এ ব্যাবহার করা হয়েছে। মুলত রেজাল্ট লাখের নিচে থাকলে কিছুটা বুঝা যায় যে কি ওয়ার্ড কম্পিটেশন কিছুটা লো।
কিন্তু শুধু এইটুকু দেখেই শিউর হওয়া যায় না। পরবর্তীতে আপনাকে দেখতে হবে কি ওয়ার্ডের প্রথম ১০ সার্চ রেজাল্টে কোন কোন সাইট গুলো আছে এবং সেগুলোর উপর কিছুটা রিসার্চ করতে হবে। কি কি রিসার্চ করতে হবেঃ
ক) সাইটের পেজ র্যানক কত।
খ) সাইটের ডোমেইন এজ কত। মানে সাইটের বয়স কত।
গ) সাইটের টোটাল কতোগুলো পেজ গুগল ইনডেক্স করেছে।
ঘ) সাইটের টোটাল ব্যাকলিংক কয়টা। যে পেজের কি ওয়ার্ডের জন্য সাইট গুগোল প্রথম পাতায় আছে সেই পেজের জন্য কতোগুলো ব্যাকলিংক করা হয়েছে।
আরও কিছু ব্যাপার আছে যা দেখলে বুঝা যায় সাইটের অথোরিটি ভ্যালু কেমন। যেমন আপনি দেখতে পারেন সাইটটি কি DMOZ বা YAHOO ডিরেক্টরি তে সাবমিট করা আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনি যদি দেখেন আপনার কি ওয়ার্ডের প্রথম ১০ জন প্রতিযোগী তেমন শক্ত না তখন আপনি বুঝবেন যে আপনার পছন্দের কি ওয়ার্ড লো কম্পিটিটেড আর আপনি নিজেও প্রথম পাতায় আসতে পারবেন।
২। সাইটের অনপেজ ফ্যাক্টর গুলো লক্ষ্য রাখবেন। যেমনঃ
ক) সাইটের টাইটেল ট্যাগ, ডিসক্রিপশন ট্যাগ ঠিক আছে কিনা।
খ) সাইটম্যাপ সাবমিট করা আছে কিনা।
গ) h1 ট্যাগ ঠিক আছে কিনা।
ঘ) ডুপ্লিকেট ডিসক্রিপশন ট্যাগ আছে কিনা। ( ওয়েবমাস্টার টুল থেকে চেক করতে পারবেন। )আপনার কোন পেজের লিংক ক্রাউল এরর আছে কিনা। এটাও ওয়েব মাস্টার টুল দিয়ে চেক করা যাবে।
যদি থাকে তো আপনার সাইটের ভালো কোন পেজের সাথে রিডাইরেক্ট করে দিবেন।
আর ইন্টারনাল লিঙ্ককিং করেছেন কিনা। এইটা খুবি জরুরী। আপনার সাইটের সব পেজের ইন্টারনাল লিংক রাখার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার বাউন্স রেটও কমবে আর সার্চ রেজাল্টও ভালো হবে।
৩। অফপেজ অপটিমাইজেশন কতটুকু করলেনঃ
এইটা কাজটা আপনার সারা জীবন ধরেই করে যেতে হবে। আপনি যত ব্যাকলিংক করবেন আপনার সার্চ রেজাল্ট ততটাই ভালো হবে এবং এর কোন বিকল্প নাই। তবে আউল ফাউল আর উলটা পাল্টা বেকলিংক থেকে দূরে থাকাই ভালো। এতে পাণ্ডা পেঙ্গুইন মাইর দিতে পারে।
কি কি ধরনের ব্যাকলিংক করবেনঃ
ক) সোশ্যাল বুকমার্ক করবেন। বর্তমান সময়ে অনেক পাওয়ারফুল ব্যাকলিংক।
খ) Web 2.0 property. সবার কাছেই পরীক্ষিত এবং খুবই কার্যকরী।
গ) ব্লগ কমেন্ট করতে পারেন। সবাই কি বলে জানিনা।
কিন্তু আমার কাছে এইটা খুবই পাওয়ারফুল আর এই ব্লগ কমেন্ট করে আমি অনেক সফলতা পেয়েছি।
ঘ) গেস্ট পোস্টিং। খুবই শক্তিশালি লিংক। কিন্তু মোটামুটি কষ্টেরও। আমি এই পর্যন্ত মাত্র ৫টা গেস্ট পোস্টিং করতে পারছি।
গুগোলে টপিকের উপর এভাবে সার্চ দিবেন তাহলে আপনার niche এর উপর যে সকল ব্লগ গেস্ট পোস্টিং গ্রহন করে তাদের সাইট পাবেন।
“KEYWORD” write for us
“KEYWORD” we accept guest post
এছাড়া আরও অনেক ধরনের লিংক বিল্ডিং আছে। সেই গুলো নিয়ে অন্য এক্তদিন আলোচনা করবো।
যে কারনে পোস্ট করা সেটাই এখনো বলা হয়নি। উপরোক্ত কাজগুলো কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি।
এইগুল আপনাকে ধীরে ধীরে করতে হবে কিন্তু আজকে থেকেই হাজার ভিজিটর LINKCOLLIDER খুব সুন্দর ভাবে করে দিবে। এই সাইট দিয়ে আপনি প্রতিদিন কয়েক হাজার ভিজিটর পাবেন সাথে টুইটার ফোলোয়ার, টুইট, পেজশেয়ার, তুম্বলার শেয়ার সহ অনেক ব্যাকলিংকও পাবেন। তো কিভাবে করবেন কাজগুলো?
১। প্রথমেই এইখান থেকে সাইনআপ করে নিন আর প্রথমেই আপনি ৩০০০ বোনাস কয়েন পাবেন। এছাড়া প্রতিদিন আপনি ১০০০ বোনাস কয়েন পাবেন।
২। আগেই কিছু কয়েন ইনকাম করে নিবেন। Start Collecting Token এ গিয়ে ফলো করে অথবা এজ শেয়ার করে কয়েন ইনকাম করা খুবই সহজ আর মাত্র ৫ মিনিটে ১০ হাজার কয়েন ইনকাম করা যায়।
৩। POST A WEBSITE বাটনে ক্লিক করে আপনার সাইটকে যুক্ত করুন।
ঠিক করুন আপনি কি করবেন, যদি সাইটের ভিজিটর আর ব্যাকলিংক চান তাহলে CLASSIc POST, যদি টুইটার ফলোআর বারাতে চান তাহলে Twitter Follower আর যদি pinterest follower তাহলে Pintereset Follow সিলেক্ট করুন।
৪। আপনার সাইটের টাইটেল, ডিসক্রিপশন সহ সবকিছু ঠিকঠাক মত দিন। এবার MY WEBSITE এ যান আপনার সাইট দেখতে পাবেন এবং সাথে দেখবেন সব ফিচারগুলো অন করা আছে কিনা। অন করা না থাকলে অন করে নিন।
এবার MANAGE ACCOUNT এ যান আর আপনার প্রফাইল ঠিক করুন। সোশ্যাল সাইটের আপনার একাউন্ট গুলো যোগ করুন। সেভ করে বের হয়ে আসুন।
৫। বাকি আর কিছুই করতে হবেনা গুগোল এনালিটিক্স এ গিয়ে REAL TIME চালু করে দেখুন কিভাবে আপনার সাইট ভিজিট হচ্ছে।
৬। প্রতিদিন যদি আপনি ২০ মিনিট কয়েন ইনকাম করেন তাহলে আপনি মিনিমাম ২০ হাজার কয়েন ইনকাম করতে পারবেন। আর ২০ হাজার কয়েন দিয়ে প্রতিদিন ২০০০ হাজার পেজভিউ ২০+ টুইটার ফলোআর ৫+ পিন্তারেস্ত ফলোআর সহ অনেক ব্যাকলিংক ও পাবেন।
কি মজার না?
আরও অনেক ফিচার আছে যা আপনি নিজে না দেখলে বুঝবেন না। তাই এখনি শুরু করুন।
এতো কিছু লিখার পরও পোস্ট সম্পুরন মনে হচ্ছেনা। অনেক লিংক দেয়া দরকার ছিলও যাতে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়। যাইহোক কোন প্রবলেম হলে জানাবেন সাহায্য করার চেষ্টা করবো। আর আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসতে পারেন আর আমাকে ফেসবুকেও পেতে পারেন এই লিংক থেকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।