কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ করেই কুয়াশা ঘেরা ক্যাম্পাসে হাজির এই বিদেশি দূত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যপ্রাণী আরোগ্য কেন্দ্রসহ প্রধান জলাশয়গুলো ঘুরে লাল শাপলা আর পাখি দেখে বেলা ১১টার দিকে তিনি ঢাকা ফেরেন।
খুব কাছ থেকে সরালি, জলপিপি, খঞ্জন, ডাহুক ও লালমুড়ি পাখির জলকেলি আর ডানা ঝাপটানো দেখে মজীনার কণ্ঠে ঝরে পড়ে উচ্ছ্বাস। বার বার তাকে বলতে শোনা যায়- ওয়াও, অসাম!
কয়েকজন শিক্ষার্থী এ সময় মার্কিন দূতকে গোলাপ ফুল উপহার দেন। ক্যম্পাস ছাড়ার আগে পরিবহন চত্ত্বরের টঙে বসে সবার সঙ্গে চাও পান করেন এই কূটনীতিক।
লেকের ধারে পাখি দেখার সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও পাখি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ড্যান মজীনা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখেছেন। এটি ছিল তার ব্যক্তিগত সফর। ”
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাষ্ট্রদূতের আসার বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি। তিনি নিজস্ব নিরাপত্তা নিয়ে এসেছিলেন।
পাখি দেখা ও চা পানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কযেকজন শিক্ষার্থী ড্যান মজীনার আশেপাশে থাকলেও সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি রাষ্ট্রদূত।
তার একজন নারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটি যেহেতু ব্যক্তিগত ভ্রমণ, গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলাই সমীচীন।
শীতের আগমনে প্রতিবছরের মতো এবারো পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়গুলো। ছুটির দিনে অতিথি পাখির টানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।