সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই, আমি না করলে আপনি করবেন, না হলে আরেকজন করবে। প্রকাশ হবেই নতুন বছরের শুরুতেই একজন সাম্প্রতিক যোগদান করা শিক্ষকের ক্লাশ পেলাম। মজার বিষয় হল এই নতুন শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকের মত নিরস নন। তবে আইনের শিক্ষক বলে যে একটু ভাব নিবেন তা সহজেই অনুমেয়। এই যেমনঃ আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা শিক্ষক হব( কিন্তু তিনি হতে পারেন মেডিকেল/বুয়েট এ সেকা খাওয়া!!!), আমাকে যে কোন বিষয় শেয়ার করতে পার …(কিন্তু করতে গেলে বাশ অবধারিত!!!) তবে হাতের সব আঙ্গুল সমান নয়, কাজেই তিনি ভিন্ন হলেও হতে পারেন।
সেটা পরে দেখা যাবে। ।
যা বলছিলাম, তিনি নিজেকে দামদার ও আকর্ষনীয় করতে বেশ মজা করে কথা বললেন। তবে তার কৌতুকগুলো শুনে হাসতে পারলাম না(প্রকৃত পক্ষে তিনি পড়াচ্ছেন নাকি নাটকে অভিনয় করছেন তা নিয়ে আমি সন্দিহান)। কারন যিনি এত সুন্দর করে কথা বলেন ও খুব স্মার্টনেস নিয়ে কথা বলেন, তিনি এত পুরানো কৌতুক বলবেন আশা করিনি।
শিক্ষকের নাম নিয়ে ফাইজলামি দেখে হুমায়ুন আহমেদ এর মৃন্ময়ী গ্রন্থের কথা মনে পরছে। ঐ গ্রন্থে মৃন্ময়ীর স্যারের এর নাম ছিল কাউসার। তাই তিনি cow sir বলে মজা করেছেন। তবে পরবর্তীতে ছাত্ররা তাকে গরুস্যার ডাকত (cow=গরু)।
আমার স্যার বোধহয় সেই উপন্যাস পড়েছেন (কিন্তু আমরাও যে পড়তে পারি উনি বুঝতে পারেন নাই, না হলে কোটেশন ছাড়া এভাবে বলতেন না)।
তাই তিনি শুরু করলেনঃ আমাকে কেউ sub-inspector ডেকো না (ডাকতে পার!!!)। কারন রুটিনে তার নাম আছে SI.
কিন্তু আমরা যে তার কথার মানে ধরতে পেরেছি, তা তিনি বুঝতে পারেননি!! কারন এর আগে তিনি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াননি। তবে আমরা যে মাল তা প্রমান দিতে আজই তার নাম দিলাম দারোগা স্যার (SI=sub-inspector= দারোগা)। আরো একটি শানে নুযুল পরে বুঝবেন। তবে নামের মিলাত ও আকিকা দেইনি!!!
স্যারের কথার মধ্যে বেশি খারাপ লাগল তিনি যখন উদাহরণ দিলেনঃ বাদী একটি গাভির মাথা আর বিবাদী লেজ ধরে টানাটানি করছে।
গাভি নিয়ে মামলা হল। এই সময়ে গাভির দুধ দহন করে আইনজীবিরা অর্থাৎ লাভবান হন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, টানাটানি করে গাভিটি হত্যার থেকে কয়েকদিন দুধ দিয়ে গাভিটি যথার্থ মালিকের কাছে দেওয়াই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়???
তাই তারা (আইনজীবিরা) লাভবান হতে মামলার জট পাকিয়ে দেন। আমি তার কথার সাথে একমত। কিন্তু শুধু আইনজীবিরাই মামলার জট পাকান না।
বিচারকের স্বল্পতা, অতিরিক্ত মামলা, আইন ব্যবস্থার complexity ইত্যাদিও দায়ী। তাই অন্যকোন পেশা কে (আইনত স্বীকৃত) অবহেলা বা তুচ্ছ করতে পারেন না।
আপনে যেমন শিক্ষকতাকে মহান পেশা ভাবেন, আসলে কি তাই?? ৬০টি ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই ৪০টাতে কোর্স শেষ করেন। যার ফলে তিনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উনারা ক্লাস নিতে পারেন। অর্থাৎ সরকারী বেত্ন পেয়েও ক্লাস ফাকি দেন।
এটি কি ধরনের মহানুভবতা??!!
জানি আপনার উত্ত্র হবে সবাই এক রকম নয়। তাহলে সব আইনজীবি যে এক রকম তা বুঝলেন কিভাবে??
আমরা কেউ সবজান্তা নই। তাই বড়াই না করে, অপরকে ছোট না করে, আসুন না নিজের যায়গা থেকে চেষ্টা করি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। তাহলে অন্তত অপমানিত হবেন না।
সবশেষে স্যার এর উজ্জলতর ভবিষ্যত এবং উত্তারুত্তর সাফল্য কামনা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।