আমার মরণ চান্নি পসর রাইতে যেন হয়
জামাতে ইসলাম এরা ইসলামের কোন দল নয়,এরা জামাতে মওদুদী। এরা ইহুদি- আমেরিকার দালাল। এদের মুল প্রতিস্ঠাতা আবুল আ'লা মওদুদী ছিলো প্রথমে ব্রিটিশদের এজেন্ট,পরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্হা সিআইএ এর এজেন্ট হয় । এই তথ্য জানা যায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এর গোয়েন্দা সংস্হা কেজিবি কর্মকর্তা দোমিত্র মিত্রোখিন রচিত "মিত্রখিন আর্কাইভ" হতে।
আরো জানা যায় সে সৌদি আরবে গিয়ে মার্কিন তেল কোম্পানী গুলোর মাধ্যমে সিআইএ হতে অর্থানুকুল্য লাভ করতো।
যা আজো অব্যহত আছে ।
এইরকম সারাবিশ্বে বহু নামধারী ইসলামী সংগঠন পরিচালিত হয় সিআইএ এবং এধরনের গোয়ন্দা সংস্হা গুলোর পৃষ্ঠপোষকতায়। ইহুদি- আমেরিকা এদের মাধ্যমে তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় । এই জন্যই এরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে জিহাদের জিগির তোলে,তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ইসলামকে অভিযুক্ত করার সুযোগ করে দেয়। মুলতঃ তারা তাদের পশ্চিমা প্রভুদের নীলনক্শাই বাস্তবায়ন করে ।
ঠিক একই কথা প্রযোজ্য তথাকথিত হেফাজতে ইসলাম নামধারী ধর্মব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে। তারাও সৌিদ দালাল সরকারের মাধ্যমে মার্কিন-পশ্চিমাদের অর্থানুকুল্য লাভ করে ও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। একসময় জেএমবি নামক সন্ত্রাসী সংগঠন এই ক্বওমী (হেফাজতে ইসলাম নামধারী) মাদ্রাসা হতে উদ্ভব হয়েছিলো। তারা একসময় শ্লোগান দিয়েছিল "আমরা হবো তালেবান,বাংলা হবে আফগান। "
এদের মাধ্যমে বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তিই এ কথা প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইসলাম মানেই সন্ত্রাসবাদ বা টেররিজম,মুসলমান মাত্রই টেররিস্ট বা সন্ত্রাসী।
মুসলমানদের এই পৃথিবী হতে নির্মূল করতে হবে ,নয়তো সারা বিশ্বে শান্তির আশা করা দূরাশা মাত্র।
এই অজুহাতে সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের ও ইসলামের আজ সবচেয় বড় শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তি। বিশ্ব সভ্যতাকে রক্ষা করতে টেররিজম দমনের নামে ইসলাম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা সহ তাবত পশ্চিমা শক্তি। তারা তাদের অত্যাধুনিক সমর শক্তি নিয়ে প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ছে একের পর এক মুসলিম দেশের উপর । চৌদ্দশত বছর যাবত পুষে রাখা প্রবল আক্রোশে বিমান-ক্ষেপনাস্ত্র-ড্রোন হামলায় শহীদ করছে লক্ষ লক্ষ সাধারন মুসলমান।
কিন্তু প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান।
দেখুন নীচের খবরটাঃ
বড়দিনের আনন্দের রেশ না কাটতেই যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ লাখ বেকার মানুষের জীবনে অমানিশা নেমে এসেছে। কারণ, সরকারের পক্ষ থেকে দিয়ে আসা বেকার-ভাতা ও ইন্স্যুরেন্স প্রাপ্তির সুবিধা শনিবার থেকে স্থগিত করা হয়েছে।
বেকার-ভাতা সুবিধা স্থগিতের সিদ্ধান্ত শুধু গরিবদের জন্যই নয়, উচ্চবিত্তদের ক্ষেত্রেও ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে।
আগামী বছর কংগ্রেসে শ্বাসরুদ্ধকর রাজনৈতিক যুদ্ধের দামামায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে জরুরি উদ্যোগের তাগিদ সত্ত্বেও হঠাৎ স্থগিত হয়ে গেলো বেকারকালীন সুবিধাসমূহ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নগদ অর্থ সহায়তায় গড়ে মাসিক ১ হাজার ১ শ ৬৬ ডলার জরুরি বেকার-ভাতা ভোগী পরিবারগুলোকে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে এখন।
আইভিলিগে পড়ালেখা করা আইনজীবি ও কংগেসম্যান মাইকেল ম্যাকনাল্টি’র সাবেক চিফ অব স্টাফ এবং কংগ্রেশনাল ও গভর্নমেন্ট রিলেশনে ২৩ বছর অভিজ্ঞ ডেভিড টোরিয়ান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, অসুস্থ্য মায়ের সেবায় নিয়োজিত বোনকে সাহায্য করতে কিছুদিন তিনিও অবসরে ছিলেন। কিন্তু অবসর শেষ করলে জানতে পারেন, অভিজ্ঞতা থাকলেও ৪৯ বছর বয়সই তার চাকরিতে ফেরার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ তার চাকরিপদ পূরণ হয়ে গেছে।
ডেভিড টোরিয়ান আরও জানান, চাকরির সাক্ষাৎকারে তিনি ‘ওভার কোয়ালিফাইড’ হওয়ার কারণে তিনি এখন আর কাজ পাচ্ছে না।
এ কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরি খুঁজছেন তিনি। এটা তার জন্য ভীষণভাবে বিব্রত। তিনি ব্লু কলার চাকরি করতে চাইলেও পাচ্ছেন না। বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় বাসাও বদল করতে হয়েছে তাকে।
হোয়াউট হাউসের ইকোনমিক এডভাইজারস কাউন্সিল বলেছে, বেকার-ভাতা সুবিধা বাতিলের সঙ্গে ২০১৪ সাল নাগাদ আরও ২ লাখ ৪০ হাজার লোক চাকরি হারাবে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১৯ লাখ মানুষ আগামী জুনের শেষ নাগাদ তাদের স্ব-স্ব রাজ্য সরকারের দেওয়া সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে।
শনিবার থেকে কার্যকর হওয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ লাখ মানুষ বেকার সুবিধা বঞ্চিত হবে। এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার মানুষ তাদের অর্থ সাহায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছর এ সংখ্যা ৫ লাখে পৌঁছবে।
গত ১২ মাসে এই রাজ্যে বেকার-ভাতা বাবদ সাড়ে ৪শ’ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে, যার অনেকটাই স্থানীয় অর্থনীতিতে ফেরত এসেছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিউইয়র্কের ১ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি বেকার মানুষ এই সুবিধা বঞ্চিত হবে। এছাড়া, জনসংখ্যার দিকে থেকে ১১তম বৃহৎ রাজ্য নিউজার্সিতেও ৯০ হাজার মানুষ বেকার-ভাতা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বেকারত্ব কমলেও কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে ব্যবহারের গাড়ী কেনার ক্ষেত্রেও ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়ে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কমিউনিটিগুলো হঠাৎ করেই আবার নগদ অর্থের অভাবের মুখোমুখি হবে। এর পরিসংখ্যানে প্রতি একটি পদে চাকরির জন্য তিনজন প্রতিযোগী থাকবে।
প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমল থেকে শুরু হওয়া এই বেকার-ভাতা সুবিধায় অর্থনৈতিক মন্দায় চাকরিহারা এবং নতুন চাকরি না পাওয়া ব্যক্তিরা নিজস্ব রাজ্য সরকার ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও এই সুবিধা ভোগ করতেন।
এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, কংগ্রেসের নতুন বছরের প্রথম কাজই হবে `এটাকে শুধরানো’। তবে, তার কাছে দ্রুত কোনো সমাধান নেই।
চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে আলোচনা করে ৬ মাসের বেশি চাকরিহীনদের বেকার-ভাতা সুবিধা স্থগিতে সম্মত হয় ওবামা প্রশাসন।
গত ২০০৮ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সুবিধায় সরকারের ব্যয় হয়েছে মোট ২শ’ ২৫ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনৈতিক মন্দার ধরন অনুযায়ী ছাটাইকৃত কর্মীরা নিজ রাজ্যের প্রাথমিক ২৬ সপ্তাহসহ সর্বোচ্চ ৯৯ সপ্তাহ পর্যন্ত এই আর্থিক সুবিধা নেয়ার সুযোগ পায়। রাজ্য বিবেচনায় এই সুবিধা প্রাপ্তির সময়সীমা ৭৩ সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। কংগ্রেশনাল বাজেট দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী আতিরিক্ত ৪৬ সপ্তাহ পুনঃসংযোজনে ২০১৪ সাল নাগাদ মোট ১ হাজার ৯শ’ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হতো।
মিশিগানের ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান স্যান্ডার লেভিন ও মেরিল্যান্ডের ক্রিস ভ্যান হ্যলেন সম্ভাব্য ‘খামার’ বিলের ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব এনেছিলেন। কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।
এদিকে সিনেটর জ্যক রিড, ডীন হেলার ৩ মাসের মেয়াদ বৃদ্ধিতে একই ধরনের একটি বিল এনেছেন এবং সিনেট রিপাবলিকান নেতা হ্যারি রীড প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি এটি আলোচনায় আনবেন, কিন্তু কংগ্রেসে বিবেচনায় এতে মেয়াদবৃদ্ধির কোনো নিশ্চয়তা নেই।
কংগ্রেসের স্পিকার জন বোয়েনার এরই মধ্যে মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন যে, এই অর্থের যোগান অগ্রিম হতে হবে এবং পাশাপাশি অর্থনীতিকে আবারও সামনে এগিয়ে নিতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অবশ্য, হোয়াইট হাউস এখনো তেমন গ্রহণযোগ্য কোনো পরিকল্পনা দিতে পারেনি।
বর্তমানে ৪০ লাখ মানুষ দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্বে ভুগছে।
তথ্যসুত্র :বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’
]জরুরী কিছু পোস্ট :
১)রসুনের মতো জামাত ও হেফাজত উভয়ের গোড়া একই his Link
৩)তুই ব্যটা এক নম্বর Politisian
Click This Link
৪)কেন একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে রক্ষার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি উদ্যোগ...
Click This Link
৫)হরতাল-অবরোধের নামে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস ও বিধ্বস্ত করে দেশবাসীকে কী ফায়দা দেয়া হচ্ছে? দেশ-জাতিকে ক্ষতিগ্রস্তকারী রাজনীতিকদের প্রত্যাখান করুন...
Click This Link
৬)দুর্নীতি না থাকলে এদেশ বিশ্বের এক নম্বর ধনী দেশে পরিণত হতো
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।