যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি
গত বছর শ্লোগাণে শ্লোগাণে মুখরিত রাজপথে এ দুটো শ্লোগান-ই শোনা গেছে ! একজন জামাতিকে জিগেস করুণ, কোন ভাবেই শিকার করাতে পারবেন না, রাজাকারের ফাসি চাই ! অনেক কিছু বলবে, এটা সেটা বোঝাবে, আসল কথাটা বলতে পারবেনা । সব রাজাকার খারাপ ছিল না, মানুষ মারেনি ইত্যাদী ।
আবার ব্লগারদের শাস্তি ফাসী চাওয়ার ব্যাপারটাও হাস্যকর । ব্লগে তো আমার মত কওমী - হেফাজতীরাও আছে! অনেকে আবার নাস্তিক ব্লগারদের ফাসী চায় । কিন্তু সব নাস্তিক তো আর ইসলামের কঠিনতম ব্যক্ষা - বিশ্লেষণেও শাস্তিযোগ্য না ! তবে ?
তবে যারা ধর্ম অবমানণা করে সমাজে বিশৃংখলা তৈরী করে, তারা তো দেশের প্রচলিত আইনেই শাস্তি যোগ্য ।
ডিজিটাল সরকারের আগের আইনে ১০ বছর, আর নতুন ডিজিটাল আইনে ৫৭ ধারায় ২০ বছর ! ভাল কথা !
তাহলে সমস্যাটা কোথায় ?
১৬ কোটির এইদেশে কতজন যুদ্ধাপরাধী ? ১%? ১৬ লাখ ? না।
১৬ হাজার ? তাহলে .০১% ।
১৬ কোটির এইদেশে কতজন ধর্ম অবমাননাকারী ? ১%? ১৬ লাখ ? না।
১৬ হাজার ? তাহলে .০১% ।
এদের লতা পাতা - দোষ্ত বন্ধু কতজন? সব মিলিয়ে ১% ও হবে না ।
এদের জন্য ৯৯% লোক সাফার করবে কেন ? এদের কাছে জিম্মি থাকবে বাকী লোকগুলো কেন ?
এর একমাত্র জবাব হচ্ছে জাতি হিসেবে এই যৌক্তিক দাবীগুলোর বিষয়ে আমরা ঐক্যমটে পৌছাতে পারিনি ।
দাবী একটাই না, দাবী দুই দুইটা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই এবং ধর্ম অবমাননা কারীদেরও বিচার চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।