আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন বছরেই মঙ্গল চমকের অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরা

বছর শেষে মঙ্গল থেকে চমক পাঠালো মার্স রোভার কিউরিওসিটি। অতীতে গেইল ক্রেটার অঞ্চলে মিষ্টি জলের বেশ বড় এক হ্রদের অস্তিত্ব নিঃসংশয় ভাবে প্রমাণ করল নাসার মহাকাশযান। অনেকটা জায়গা জুড়ে পাওয়া পাথরের ক্ষয় বিশ্লেষণ করে কিউরিওসিটি নিশ্চিত করল জলের অস্তিত্ব। এবার খোঁজ প্রাণের অস্তিত্বের। নতুন বছরে হয়তো প্রথমবারের মতো পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ মিলবে মঙ্গলের মাটি থেকেই।

তাই বিজ্ঞানীদের চোখও এ বছর থাকবে মঙ্গলের দিকেই।

নতুন বছরে কিউরিওসিটির ওপর অনেকটাই ভরসা নাসার। বছরে একটি বারের জন্যও বিজ্ঞানীদের হতাশ করেনি মঙ্গলে পাঠানো ৯০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই যন্ত্রযানটি। দু'হাজারের বেশি লক্ষ্যবস্তুর উদ্দেশে ছুড়ে দেওয়া এক লক্ষেরও বেশি 'লেজার শট' থেকে পাওয়া গিয়েছে বিপুল তথ্য। মহাকাশযানের ছোট্ট গবেষণাগারে সব তথ্যের বিশ্লেষণ করে নাসার সদর দপ্তরে সেই তথ্যের যে সারবস্তু এসেছে, তার পরিমাণই ১৯০ গিগাবাইট।

ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের এক পাথরে ড্রিল করে পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে কিউরিওসিটি। 'জন ক্লাইন' নামে ওই পাথরের নমুনার বিশ্লেষণ করা হল মঙ্গলযানেরই গবেষণাগারে। ফল দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ। কল্পবিজ্ঞান যেন সত্যে পরিণত হল। সুদূর অতীতে লালগ্রহের আবহাওয়া সত্যিই জীবনধারণের উপযুক্ত ছিল! পাথুরে টুকরোর বিশ্লেষণ থেকে জানা গেল, মঙ্গলের বুকে এক সময় জলীয় বাষ্প, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড- সবই ছিল।

লালগ্রহের বুকে কিউরিওসিটির পরের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা মঙ্গলের বর্তমান পরিবেশ নিয়ে। কী করে 'শুকিয়ে কাঠ হয়ে' আজকের অবস্থায় পৌঁছল পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহটি?

কিউরিওসিটির পরের আবিষ্কারে নড়ে চড়ে বসে বিজ্ঞানমহল। ইয়েলোনাইফ বে এলাকায় মাটি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে কিউরিওসিটি জানায়, পৃথিবীর মতোই ৪৫০ কোটি বছর আগে এই গ্রহের জন্ম। একই সঙ্গে জানা যায়, গেঢ়ি ক্রেটার আসলে অতীতের কোনও হ্রদ সংলগ্ন অঞ্চল।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.