আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চায়ের দোকানদার এর সুরে সুর মিলিয়ে বলছি “হ্যাপি নিউ ইয়ার-২০১৪”




আজ আমি এক অদ্ভুদ সুন্দর ঘটনার সঙ্গী হলাম, তাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না। প্রতিদিন অফিসে এসে গুলশান - ১ এ নাভানা টাওয়ারের পিছনে চা খেতে মোল্লা নামের একজনের চায়ের দোকানে যাই। তার সম্পর্কে একটু জানাচ্ছি আপনাদের- ওখানে ফুটপাতে অনেক চায়ের দোকান আছে, কিন্তু মোল্লা এর ব্যবহার অন্য সব দোকানদার থেকে আলাদা। ওর ভাল একটা নাম আছে কিন্তু মোল্ল্া নামে ওকে সবাই চেনে। ওর রেগুলার কোন কাস্টমার যদি বেশ কিছুদিন ওর দোকানে চা খেতে না যায় তাহলে ও ফোন করে খোজ নেয় কেনো চা খেতে যায় না তার দোকানে।

ফোন না থাকলে পরিচিত এর মাধ্যমে যাওয়ার জন্য বলে। এ কারণে তার কাস্টমার সংখ্যা অনেক এবং আসে পাশের সবগুলো অফিসের লোক তার দোকানে চা খেতে যায় এবং ও সব লোকর নাম ও জানে। এমনকি যে সব লোক ওর দোকানে চা খেতে যায় না সে তাদের ও নাম জানে এবং তার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সে সালাম দিয়ে খোজখবর নেয়। আজকে ১লা জানুয়ারি ২০১৪, আমি যখন তার দোকানে চা খেতে গেলাম তখন সে আমাকে সালাম দিয়ে হাতে একটা সুন্দর সেন্টার ফ্রেশ চকোলেট দিয়ে বলল হ্যাপি নিউ ইয়ার ভাই। আমি তার এই সুন্দর ব্যবহারে একটু হতবাকই হলাম! আমি ভাবলাম মনে হয় ও আমাকেই শুধু দিয়েছে।

কিন্তু কিছুক্ষণ চা খেতে খেতে দেখলাম যে আসছে সবাই কে সালাম দিয়ে হ্যাপি নিউ ইয়ার জানায়ে চকোলেট দিচ্ছে। তার এই ঘটনা আমার এতটাই ভাল লাগলো যে আমি তার একটি ছবি তুলে নিয়ে এসে আপনাদের সাথে শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না। বাম পাশের দাড়িয়ালা ঐ লোকই হচ্ছে চায়ের দোকানদার মোল্লা। একটা চকোলেট এর দাম ২ টাকা। সে চা বিক্রি করে কতইবা লাভ করে, তাছাড়া কিছুদিন পরপর দোকান এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে হচ্ছে পুলিশের তাড়া খেয়ে।

তার উদার মনের এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে সত্যি মুগ্ধ করেছে। আজ আমাদের এই দেশ রাজনৈতিক ভাবে বিপযর্স্ত। যদি আমরা এই চায়ের দোকানদার এর ব্যবহার থেকে ভাল কিছু নিয়ে মনটা একটু ভালো করতে পারি। সবাই কে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি এবং ঐ আজ আমি এক অদ্ভুদ সুন্দর ঘটনার সঙ্গী হলাম, তাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না। প্রতিদিন অফিসে এসে গুলশান - ১ এ নাভানা টাওয়ারের পিছনে চা খেতে মোল্লা নামের একজনের চায়ের দোকানে যাই।

তার সম্পর্কে একটু জানাচ্ছি আপনাদের- ওখানে ফুটপাতে অনেক চায়ের দোকান আছে, কিন্তু মোল্লা এর ব্যবহার অন্য সব দোকানদার থেকে আলাদা। ওর ভাল একটা নাম আছে কিন্তু মোল্ল্া নামে ওকে সবাই চেনে। ওর রেগুলার কোন কাস্টমার যদি বেশ কিছুদিন ওর দোকানে চা খেতে না যায় তাহলে ও ফোন করে খোজ নেয় কেনো চা খেতে যায় না তার দোকানে। ফোন না থাকলে পরিচিত এর মাধ্যমে যাওয়ার জন্য বলে। এ কারণে তার কাস্টমার সংখ্যা অনেক এবং আসে পাশের সবগুলো অফিসের লোক তার দোকানে চা খেতে যায় এবং ও সব লোকর নাম ও জানে।

এমনকি যে সব লোক ওর দোকানে চা খেতে যায় না সে তাদের ও নাম জানে এবং তার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সে সালাম দিয়ে খোজখবর নেয়। আজকে ১লা চায়ের দোকানদার এর সুরে সুর মিলিয়ে বলছি “হ্যাপি নিউ ইয়ার-২০১৪”
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।