আমি পাড়ার চায়ের দোকানের একজন নিয়মিত ক্রেতা। আমি প্রায়ই সেখানে দুধ চা খাই। মাঝে মাঝে রঙ চা খাই। রঙ চায়ে এলাচ আর লবঙ্গ দিয়ে থাকে। একটু আদাও দেয়া হয়।
খুব সুন্দর ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
সকালবেলায় বাড়ীতে নাস্তা বানাতে দেরি হলে আমি দুধ চায়ের সাথে একটা বন রুটিও খাই। বন রুটির দাম আগে ছিল দুই টাকা। এরপর তিন টাকা হল, এখন চার টাকাও হয় মাঝে মাঝে। বিস্কুট খেতে আগে ভাল লাগত তবে এখন আর তেমন ভাল লাগে না।
এছাড়া বেকারীর আরো কিছু খাবার আছে যা চায়ের দোকানে পাওয়া যায়। যেমন মিষ্টি আটার গোলা অথবা শন পাপড়ী। শন পাপড়ী খেতে সবসময় ভাল লাগে না। বাটার ফোম নামের যে রুটিটা পাওয়া যায়, যাতে কিনা মিষ্টি ডালডা দেওয়া থাকে তা আমি খুব মজা করে খাই। দিল্লিকা লাড্ডু নামে মিষ্টি লাড্ডু পাওয়া যায়।
দুই টাকা প্রতি পিছ। সেটাও আমি খুব মজা করে খাই।
কখনও কাজের চাপ খুব বেশী থাকলে আমি একসাথে দশ টাকার চা খাই। এমনিতে চায়ের দাম প্রতি কাপ তিন বা চার টাকা। দশ টাকার চা একটা খালি হয়ে যাওয়া ঘন দুধের কৌটায় করে বানিয়ে দেওয়া হয়।
বানানো শেষে পত্রিকার কাগজের একটা ছোট টুকরা হালকা নোংরা পানিতে ভিজিয়ে কৌটার মুখ ঢেকে দেওয়া হয় যাতে কৌটা নিতে নিতে চা ঠান্ডা না হয়ে যায়। আমি দশ টাকার চা একটা প্লাষ্টিকের মগে ঢেলে খাই আর সমস্যা নিয়ে ভাবি।
বেশী বেশী চা খেলে মস্তিষ্ক ভাল কাজ করে। তবে যেন তেন চা হলে চলবে না, হতে হবে পাড়ার চায়ের দোকানের চা। সেখানে চা অনেক্ষণ ধরে জ্বাল দেওয়া হয়।
ঘন কালো লিকার মাথায় গিয়ে আঘাত করে আর কাজের উদ্দিপনা বাড়ায়। বড়সড় সমস্যায় পড়লে দশ টাকার দুধ চা বেশ কয়েক বার খেলে সমস্যা কেটে যায়।
উপরের ছবিতে কিছু মেহনতি ভাইদের দেখা যাচ্ছে। চা মেহনতের জন্য কতটা বলবর্ধক তা নিয়ে বর্তমান পৃথিবীতে কারোই সন্দেহ নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।