আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবার চোখ এখন কলম্বোর দিকে

আজ বাদে কাল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন বর্জন করেছে বিরোধী দল। অন্যদিকে নির্বাচন আয়োজনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার। তারপরও ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন কি হবে, এ নিয়ে শঙ্কিত দেশবাসী। অনেকেই মনে করছেন নির্বাচনের পর বদলে যাবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

অন্যরা মনে করছেন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠবে। নির্বাচন নিয়ে দেশের জনগণ যেমন শঙ্কায়, তেমনি শঙ্কিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। শঙ্কিত এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ভাগ্য নিয়ে। কেননা আজই ভাগ্য পুনর্নির্ধারিত হবে এশিয়া কাপের। আসন্ন আসরকে সামনে রেখে আজ কলম্বোতে বসছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) জরুরি সভা।

সভায় এসিসির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবে, ২৪ ফেব্রুয়রি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত এশিয়া কাপের ১২ নম্বর আসরের আয়োজক কি বাংলাদেশই থাকবে, না স্থানান্তরিত হবে শ্রীলঙ্কায়। এমন শঙ্কায় আজ দেশের ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর চোখ আটকে থাকছে কলম্বোর এসিসির সভার দিকে।

২০১২ সালে এশিয়া কাপের ১১ নম্বরের আসর বসেছিল বাংলাদেশে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান এবং প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এবারও আয়োজক বাংলাদেশ।

এর আগে ১৯৮৮, ২০০২ ও ২০১২ সালে তিনবার আয়োজক হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটের সর্বশেষ দলটি। কিন্তু এমন জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি কখনো। সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় গত কয়েক মাস ধরে দেশের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। রাজনৈতিক অচলাবস্থার ধাক্কা এসে লেগেছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে। বেশ কিছুদিন আগে ভারতীয় মিডিয়া প্রকাশ করে, নিরাপত্তাহীনতার জন্য এশিয়া কাপে অংশ নিতে না পারে পাকিস্তান।

অবশ্য নিয়মানুযায়ী এশিয়া কাপের বিকল্প ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কার কলম্বোকে ঠিক করে রাখা হয়েছে। আজকের সভায় এসিসির সদস্যরা ঠিক করবেন, এশিয়া কাপ কি বাংলাদেশের বসবে, না স্থানান্তরিত হবে। সভায় যোগ দিতে গতকাল সকালে ঢাকা ছাড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামুদ্দিন সুজন। বিসিবি সভাপতি গতকাল পর্যন্ত অবস্থান করেছেন ইংল্যান্ডে। সেখান থেকে আজ সরাসরি যোগ দেবেন কলম্বোর সভায়।

সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে সিইও বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের নিরাপত্তার পরিকল্পনা পাঠিয়েছি এসিসি এবং ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে। আমরা সভায় আমাদের বর্তমান অবস্থান পরিষ্কার করব। আমি মনে করি আমাদের এখানে এশিয়া কাপ না হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের পরিকল্পনা প্রতিটি দলকেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া। ' বিসিবির সিইও আশ্বস্ত করলেও গুঞ্জন শেষ পর্যন্ত স্থানান্তরিত হতে পারে এশিয়া কাপ।

অবশ্য সবকিছু নির্ভর করছে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে। দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ খেলতে ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসার কথা দ্বীপরাষ্ট্রের। এই সিরিজ নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। যদিও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি সফর নিয়ে। ৩১ ডিসেম্বর বিসিবি পরিচালক মাহাবুব আনাম ও সিইও দেখা করে পরিস্থিতি র্বণনা করেছেন শ্রীলঙ্কান হাই কমিশনারকে।

হাইকমিশনারও আশ্বস্ত করেছেন বিসিবি পরিচালক ও সিইওকে। আর তাতেই আশায় বুক বেঁধেছে বিসিবি। আশায় বুক বাঁধলেও শোনা যায়, সত্যিকার অর্থে শ্রীলঙ্কা চাইছে না বাংলাদেশ সফরে আসতে। নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশে না আসলেও অন্যান্য দেশও (ভারত, পাকিস্তান) এশিয়া কাপ খেলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করবে। তাতে সুবিধা হবে দেশটির।

এশিয়া কাপের ভেন্যু পরিবর্তিত হয়ে চলে যাবে শ্রীলঙ্কায়। ২০১২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু আর্থিকভাবে খুব বেশি লাভ করতে পারেনি দেশটি। তাই এশিয়া কাপের আয়োজক হয়ে কোষাগার স্ফীত করতে চাইছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা নিশান্থ জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ এবং টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে প্রস্তুত।

আজকের সভায় কেবল এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়েই আলোচনা হবে না। সেই সঙ্গে আফগানিস্তানকে খেলানোর বিষয়েও প্রস্তাব থাকবে। যদি আফগানিস্তানকে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান হবে তৃতীয় দেশ, যারা এশিয়া কাপ খেলার সুযোগ পাবে। এর আগে এশিয়া কাপে খেলার স্বাদ নিয়েছে হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.