এখন থেকে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে তাদের গ্রিন ব্যাংকিং, সিএসআর, স্কুল ব্যাংকিং, ফাইন্যান্সিয়াল এডুকেশন এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন সম্পর্কিত সব বিষয়ে এই বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে।
বিভাগটি মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর পরিবেশবান্ধব অর্থায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও নিদের্শনা বাস্তাবায়নে কাজ করবে।
গত ৪ এপ্রিল এক আদেশে গ্রিন ব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর বিভাগ খুলে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে মোট ২২ জন লোকবল নিয়ে বিভাগটি গঠন করা হয়েছে।
কৃষি ঋণ বিভাগের আওতায় থাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন খাতে ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলটিও এখন থেকে এই বিভাগের আওতায় পরিচালিত হবে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম, বিশেষ করে ১০ টাকা ও ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম ও স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমও পরিচালিত হবে এই বিভাগ থেকে।
নতুন এই বিভাগটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমির মহাব্যবস্থাপক মো. খুরশীদ আলমকে।
জানতে চাইলে মো. খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্বের বড় বড় দেশের ব্যাংকগুলো তাদের অর্থায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ ঝুঁকিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। আমাদের দেশেও এর চর্চা শুরু হয়েছে।
এতোদিন যে ভাবে গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল, সেটাকে আরো সুগঠিত করতে এ বিভাগ চালু হলো। ”
এসব খাতে অর্থায়নের জন্য প্রয়োজনে আলাদা নীতিমালাও করা হবে বলে জানান বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক খন্দকার মোরশেদ মিল্লাত।
তিনি বলেন, “ট্যানারি শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, পোল্ট্রি শিল্প ও গার্মেন্ট শিল্পের মতো পরিবেশ ঝুঁকিসম্পন্ন শিল্পখাতগুলোতে ব্যাংকের অর্থায়ন কেমন হবে সেটা নিয়েই কাজ করবে এই বিভাগ। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।